OTP চায়নি, আসেনি ফোন বা লিঙ্কও, তার পরও উধাও লক্ষাধিক টাকা



সাইবার অপরাধ নিয়ে সতর্কতা বাড়ছে ঠিকই। তবে সাইবার অপরাধীদের বাড়বাড়ন্ত কি রোখা যাচ্ছে? আদৌ কি তা রোখা সম্ভব, উঠছে সে প্রশ্নও। এ বার সাইবার ক্রাইমের ফাঁদে মালদহের এক লটারি বিক্রেতা। খোয়ালেন ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।

ইংরেজবাজারের গয়েশপুর এলাকার বাসিন্দা তাপস দাস। ঝলঝলিয়া এলাকায় লটারির ব্যবসা তাঁর। ফুটপাথের উপর লটারি বিক্রি করেন তাপস। তাঁর অভিযোগ, সোমবার চার দফায় তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে এই টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। অথচ কোনও ওটিপি তিনি শেয়ার করেননি, কোনও মেসেজ বা ফোনও তিনি পাননি। হঠাৎ এসএমএস আসে, অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটা হয়েছে। এর পরই ব্যাঙ্কের স্থানীয় শাখায় ছুটে যান তিনি। সেখান থেকে বেরোতে না বেরোতেই আবারও টাকা কেটে নেয়।

তাপসের কথায়, ‘দু’ দফায় প্রায় ৮০ হাজার টাকা করে কেটে নিয়েছে। এর পরই ব্যাঙ্কে যাই। ওরা বলছে কোনও ওটিপি দিয়েছি কি না। আমি কিছুই করিনি। কোনও ফোনও আসেনি। এ দিকে ব্যাঙ্ক থেকে বেরোনোর সময় দেখি আরও টাকা করে কেটে নিয়েছে। ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ছিল। অ্যাকাউন্টে দেখি ২ টাকা পড়ে আছে।’

তাপস জানান, ব্যাঙ্কের পরামর্শ মেনে সাইবার অপরাধ দমন শাখায় অভিযোগ জানান। তবে সেখান থেকে বলা হয়েছে, ওরা টাকা তুলে নিলে ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়। না তুললে রিফান্ড হয়ে যাবে। তাপস ইংরেজবাজার থানায়ও অভিযোগ জানান।

ওই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পলাশকান্তি বসুর দাবি, অভিযোগ পেয়েই যা যা করার, তাঁরা তা করেছেন। তবে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। মালদা ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্স ও ইন্ডাস্ট্রিজ়ের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা জানান, সাইবার ক্রাইমের প্রবণতা দেশে বাড়ছে। এটা ভয়ঙ্কর দিক। জেলা পুলিশ, সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্ট যতটা পারছে তা মোকাবিলায় চেষ্টা করছে। কিন্তু আতঙ্ক থাকছেই।

Post a Comment

Previous Post Next Post