প্রয়াত পরিচালক রাজা মিত্র



প্রয়াত ভারতীয় চলচ্চিত্র জনপ্রিয় সিনে পরিচালক রাজা মিত্র। বৃহস্পতিবার কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী পরিচালক। বয়স হয়েছিল ৭৯।

১৯৮৭ সালে মুক্তি পায় পরিচালক রাজা মিত্রর প্রথম ছবি ‘একটি জীবন’। প্রথম ছবিতেই জাতীয় পুরস্কার জিতে নেন পরিচালক। এছাড়াও, ‘নয়নতারা’, ‘যতনের জমি’ সিনেপ্রেমীদের প্রশংসা পেয়েছিল। 

৩২ টি তথ্যচিত্র পরিচালনা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে, ‘কয়লার নাম দ্য ম্যাসেস’ , ‘রেলওয়েতে এইচএস অয়েলের অর্থনীতি’ , ‘ক্যালকাটা ফুটপাথ ডেভেলার’ , ‘দ্য ট্রাইবাল রেজিস্ট্যান্স’ , ‘কলকাতা’ , ‘অতীত এবং বর্তমান’ , ‘বীরভূমের স্ক্রল পেইন্টারস , টুওয়ার্ডস এ গ্লোবাল ব্রেক’, ‘জীবন পটুয়া’ , ‘আশ্রয়’ , ‘বিদ্যাসাগর’ , ‘বিয়ন্ড এ হেড কাউন্ট’ , ‘কালীঘাট পেইন্টিংস অ্যান্ড ড্রয়িংস’। যা সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল।

পরিচালকের মৃত্যুতে সোশাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করেছেন টলিউডের অন্যতম পরিচালক অতনু ঘোষ। তিনি লেখেন, ‘রাজাদা চলে গেলেন। রাজা মিত্র। যাঁর ‘একটি জীবন’ বাংলা ছবির ইতিহাসে মাইলফলক। অত‍্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আরও কত কাজ- নয়নতারা, যতনের জমি, বীরভূমের স্ক্রোল পেইন্টার্স বা কালীঘাট পেইন্টিং তথ‍্যচিত্র। খুব সম্ভবত দূরদর্শনে প্রথম আলাপ। এমনিতেই আমি জাত মুখচোরা, আর উনি অত নামী মানুষ। তারপর বুঝি বড় পরিচালকের কোনও ভার নেই, দিব‍্যি সহজে কথা বলা যায়, প্রশ্ন করা যায়। পরে যখন যেখানে দেখা হয়েছে, অনায়াসে কাঁধে হাত তুলে দিয়েছেন- ‘ওটা দেখলাম। বেশ করেছো, এখন কী ভাবছ?’ অনেকটা অক্সিজেন পেয়েছি। আমার মত আনকোরার কাজ রাজা মিত্র দেখেছেন, দেখেন? একবার গোর্কি সদনের গৌতমদা (ঘোষ) নতুন টেলিফিল্ম করিয়েদের উৎসাহ দিতে এক সাক্ষাৎকারের আয়োজন করেছেন। আমার সেশন শুরু হওয়ার আগে হঠাৎ দেখি রাজাদা দর্শকদের মধ‍্যে এসে বসলেন।আমি অবাক, হতবম্ব। ভাবলাম হয়তো কোনও কাজে এসেছেন। ‘না না, তোমার কথা শুনতেই এলাম!’ অকপট, স্পষ্টবাদী। সেদিন বুঝেছিলাম, যিনি প্রকৃত শিল্পী, তিনি কাঁচাদের পাশে দাঁড়ান, রাস্তা দেখান, এগিয়ে দেন…সশ্রদ্ধ প্রণাম, ভালোবাসা রাজাদা।’

Post a Comment

Previous Post Next Post