চারু মার্কেটের দেশপ্রাণ শাসমল রোডে যুবকের দেহ উদ্ধার। খুন বলে সন্দেহ পুলিশের। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। ঘটনাস্থলে গিয়েছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা এবং চারু মার্কেট থানার পুলিশ। তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। চারু মার্কেট থানা এলাকায় এক অভিজাত আবাসনে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে ২২ বছরের যুবক অবিনাশ বাউড়ির। জানা গিয়েছে, এই যুবক আসানসোলের বাসিন্দা। তিনি এই ফ্ল্যাটে ২ বছর ধরে পরিচারকের কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় স্নিফার ডগ নিয়ে গিয়ে চলছে তল্লাশি। এই ঘটনার পরতে পরতে রয়েছে রহস্য। উঠছে একাধিক প্রশ্ন। হোমিসাইড শাখা তদন্তে নেমেছে। জানা গিয়েছে, একজনকে সঙ্গে নিয়ে আজ বিকেলে ফ্ল্যাটে আসেন অবিনাশ। মৃতের সঙ্গে যিনি এসেছিলেন তিনি আদৌ অবিনাশের পরিচিত নাকি অপরিচিত তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। দুপুরের পর বিকেলের দিকে অবিনাশের সঙ্গে যে ব্যক্তি এসেছিলেন তাঁর উপস্থিতি নিয়েই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এই ব্যক্তি কি কোনওভাবে খুনের সঙ্গে যুক্ত, একজন নাকি অনেকজন মিলে অবিনাশকে খুন করেছেন, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে যুবকের দেহ। এই ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। আবাসনের এবং সংলগ্ন এলাকার একাধিক সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সেইসব ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের মোটিভ কী, কে বা কারা এর সঙ্গে যুক্ত, কীভাবে মৃত্যু হয়েছে অবিনাশের, সবই খতিয়ে দেখতে জোরকদমে শুরু হয়েছে তদন্ত।
কুশল ছাবড়া নামের এক ব্যবসায়ী এই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন। লেনিন সরণীতে দোকান রয়েছে এই ব্যক্তির। কুশলের ফ্ল্যাটেই ২ বছর ধরে পরিচারকের কাজ করতেন অবিনাশ। আজ ফ্ল্যাটে ছিলেন না কুশল এবং তাঁর স্ত্রী, ছেলে। বারবার অবিনাশকে ফোন করেছিলেন কুশল। কিন্তু সাড়া মেলেনি। এরপর কুশল নিজের ড্রাইভারকে বলেন অবিনাশের খোঁজ নিতে। ফ্ল্যাটের উপরে উঠে ওই ড্রাইভার দেখেন দরজা বন্ধ। এরপর নীচে নেমে কেয়ারটেকারের থেকে ডুপ্লিকেট চাবি নিয়ে ফ্ল্যাটে ঢুকতেই নজরে আসে নৃশংস দৃশ্য। ডাইনিংয়ে পড়ে ছিল কুশলের রক্তাক্ত দেহ। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল ডাইনিং। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের ঘাড়ে এবং মুখে চোট, আঘাত রয়েছে। শরীরে অন্যান্য অংশের রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। অনুমান, কোনও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অবিনাশকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু কে খুন করল এই যুবককে? কেনই বা খুন করা হল? প্রাথমিক তদন্তের পর হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, খুনই করা হয়েছে অবিনাশকে।