২০২৫ সালে দাঁড়িয়েও চাকরি ছেড়ে বিয়ে করার জন্য মেয়েকে জোর করছেন বাবা মা, শুধু তাই নয় উনিশ বছরের তরুণী সে প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাঁকে ঘরের মধ্যে শিকল বেঁধে আটকে রাখলেন দম্পতি! উত্তর হাওড়ার ঘুসুড়ি এলাকার এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অবশেষে বাড়ি থেকে তরুণীকে উদ্ধার করেছে রাজ্য পুলিশ। বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন মেয়ে।
অথচ ১৯ বছরের মেয়ে কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করতে করতে চাকরি পেয়ে যাওয়ায় বাবা-মা খুশি হওয়ার পরিবর্তে তাঁকে সব ছেড়ে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। তরুণীকে পায়ে শিকল বেঁধে ঘরবন্দি করে রাখার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে আরতি নামের সেই ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাবা-মায়ের যুক্তি, বিপথে যাচ্ছিলেন মেয়ে। তাই তার যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেই কারণেই নির্মমভাবে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশীরা বলছেন বাড়িতে পশু পাখি, এমনকি মানসিক ভারসাম্যহীন কেউ থাকলেও তাঁর উপর এমন অত্যাচার করা হয় না। ১৯ বছরের আরতি বড়বাজারের সাবিত্রী মহাবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার পাশাপাশি নিউ ব্যারাকপুরে একটি সংস্থায় চাকরি করেন।তরুণীর অভিযোগ, বাবা-মা তাঁকে চাকরি ছাড়তে জোর করেন। বিয়ের জন্য পাত্র দেখা হচ্ছে জানতে পেরে প্রতিবাদ করেন আরতি। এরপরই পায়ে শিকল পরিয়ে মেয়েকে ঘরে আটকে রাখেন মা- বাবা। শুক্রবার পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থাতেই আরতিকে উদ্ধার করে মালিপাচঘরা থানার পুলিশ। আপাতত তরুণীকে ‘নিরাপদ আশ্রয়ে’ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাবা-মা ও মেয়ের একে অপরের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।