কলকাতা: নতুন দল গঠন করার কথা ঘোষণা করেছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত ৫০টি আসনে প্রার্থী দিতে তিনি চান। তৃণমূল বিধায়কের এই ঘোষণায় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে। প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ কেন নতুন দল গঠনের কথা ঘোষণা করলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক? হুমায়ুনের এই ঘোষণার পিছনে অন্য ‘অভিসন্ধি’ খুঁজে পাচ্ছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কী বললেন তিনি?
হুমায়ুন কবীর একসময় কংগ্রেসে ছিলেন। বিজেপির হয়েও লোকসভায় প্রার্থী হয়েছিলেন। এবার তিনি নতুন দল গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন। হুমায়ুনের এই ঘোষণা নিয়ে বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওঁকে কেউ কোনওদিন ধরে রাখতে পারেনি। পশ্চিমবঙ্গে যত দল, সব করা হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন দল করার দরকার।” এরপরই দিলীপ বলেন, “আমার যেটা মনে হচ্ছে, এতদিন উনি যেসব ডায়লগ দিতেন, সেসব শুধু ওঁর ইচ্ছে নয়, তৃণমূলও চাইত। যেদিকে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি যাচ্ছে, ছাব্বিশে যদি কোনও মুসলিম উপমুখ্যমন্ত্রী হয়, অবাক হওয়ার কিছু নেই। আইএসএফ বা নতুন দলের যে কথা উঠছে, ১০০টা মুসলিম সিট জেতার মতো পরিস্থিতি আছে, নতুন দল হবে মুসলিমদের। তারা দাবি করবে, উপমুখ্যমন্ত্রী চাই তাদের। পরের বার বলবে, যে মুখ্যমন্ত্রী করবে মুসলিমকে, তাকে আমরা সাপোর্ট করব। সেই পরিস্থিতির দিকে যোজনাবদ্ধভাবে এগোচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন।
পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় বাংলাদেশ হওয়ার দিকে এগোচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বামপন্থীরা করে দিয়েছিল রাস্তা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই রাস্তা ধরে গাড়ি চালিয়ে এগোচ্ছেন। দেশভাগের আগের পরিস্থিতি আবার তৈরি হচ্ছে রাজ্যে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবটা জানেন।”
আর কয়েকমাস পরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ভোট ভাগাভাগি হলে কি সুবিধা হবে বিজেপির? এই নিয়ে দিলীপ বলেন, “আমরা কোনও ভাগাভাগিতে বিশ্বাস করি না। সবার সাথে, সবার বিকাশে বিশ্বাসী, এই স্লোগান আমরাই দিয়েছি। ভারতীয় সংবিধানের আঁধারে রাজনীতি করি আমরা। বিজেপি এই ভাবেই চলবে।” এদিন তিনি আরও একবার জানিয়ে দেন, বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন। বলেন, “গোটা পশ্চিমবঙ্গের কর্মীদের সঙ্গে আছি আমি।”