এর আগেও জেলার সীমান্ত লাগোয়া বাগদা ব্লকে প্রতিবেশী কিংবা দূর সম্পর্কের কোনও আত্মীয়কে নিজের বাবা সাজিয়ে ভারতের ভোটার, আধার কার্ড বানিয়ে দিব্যি বসবাস করার অভিযোগ উঠেছিল বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে।
এ বার সেই বাগদা ব্লকেই শাশুড়িকে মা সাজিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলার কীর্তি সামনে এল।
ভুতুড়ে ভোটারের বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাগদায়। ঘটনাটি ঘটেছে বাগদা ব্লকের আষাঢ়ু পঞ্চায়েতের বাগি গ্রামে। ঘটনার পরেই অবশ্য রিজাউল মণ্ডল নামে ওই বাংলাদেশি জামাই এ দেশ ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশি জামাইয়ের এই কীর্তি সামনে আসতেই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে।
পুলিশ এবং প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কীর্তিমান রিজাউলের বাড়ি বাংলাদেশের ঝিনাইদহে। সে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি–র একজন নেতা বলেও জানা গিয়েছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে আসার পর রিজাউল বাংলাদেশে ফিরে যান।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিরিশ আগে চোরাপথে ভারতে এসেছিল রিজাউল। বাগদার আষাঢু পঞ্চায়েতের বাগি গ্রামের বাসিন্দা চেয়ারবানু মণ্ডলের মেয়ে শেফালিকে বিয়ে করে রিজাউল। দম্পতির ছেলের নাম ফিরোজ মণ্ডল।
শাশুড়ি চেয়ারবানু মণ্ডলকে মা সাজিয়ে রিজাউল ভারতের ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিল বলে অভিযোগ। এ দেশের ভোটার কার্ড বানিয়ে দিব্যি সংসার করছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।