শুভেন্দু অধিকারীর ছোঁয়া লাগাতে চাইছেন না কেউই! রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে অরাজনৈতিক মঞ্চ কাউকেই পাশে পাচ্ছেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক বিজেপির। বাম -ডান কোনও দলই যে নবান্ন অভিযানে নেই, তা একে একে স্পষ্ট করে দিয়েছে। এরা কেউই বিজেপির ছোঁয়া নিতে চাইছে না। এর পাশে মরার উপর খাঁড়ার ঘা দিলেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট (WBJDF) স্পষ্ট জানিয়ে দিল নবান্ন কর্মসূচিতে তাঁরাও থাকতে চান না। কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তারা নেই। আসলে তারা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে ব্র্যাকেট হতে চাইছেন না।
আরজি কর আন্দোলনে কল্কে পায়নি বিজেপি। ব্যারিকেডের ওপার থেকে দেখতে হয়েছিল। পড়ুয়ার মৃত্যুর এক বছরের মাথায় ছাব্বিশের ভোটের আগে সেই ইস্যুতে কল্কে খুঁজতে নবান্ন অভিযানের ডাক দেন শুভেন্দু। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু সটান মৃত পড়ুয়ার বাবা-মার কাছে চলে যান। বেরিয়ে এসে জানান, ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানে তাঁরাও থাকবেন। শুভেন্দুর ধারণা ছিল এই দুজনে মিছিলে হাঁটলে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশকে নিশ্চিত পাওয়া যাবে। মনে মনে তাঁর ধারণা হল, তিনি বুঝি গণ্ডার মেরে দিয়েছেন। কিন্তু জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট (WBJDF) ‘না’ বলে দিতেই ভেস্তে গিয়েছে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) প্ল্যান। জুনিয়র ডাক্তাররা এর আগে বামেদের সঙ্গে নিয়ে হেঁটেছেন। তাহলে শুভেন্দুতে তাদের আপত্তি কোথায়? রাজনীতির সঙ্গে নিজেদের মেশাব না, জুনিয়র ডাক্তারদের এসব কথা তো সোনার পাথরবাটির মতো। গোটা আন্দোলনটায় যারা ছিলেন, তারা সকলেই কোনও না কোনও সংগঠনের সদস্য। তাহলে?
ফ্রন্টের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ফ্রন্টের সদস্যরা বুঝতে পেরেছেন বিজেপির সঙ্গে গেলে তাদের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। আন্দোলনটা শুরুই হয়েছিল নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব তৈরি করতে। বিধানসভা ভোটে হারছে বিজেপি। যাদের ভবিষ্যৎ নেই, তাদের সঙ্গে ফ্রন্ট যাবে কেন? পাশাপাশি মৃত পড়ুয়াকে সামনে রেখে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল ফ্রন্ট। বিজেপির সঙ্গে গেলে সেই টাকা তোলাটাই তো বন্ধ হয়ে যাবে। অতএব পত্রপাঠ শুভেন্দুকে না।