ডিভোর্স চেয়ে স্বামীকে মারার ছক, পিটিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলার চেষ্টা উত্তরপ্রদেশে



বিবাহিত জীবনে ঝামেলা চলছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই কিন্তু তার মধ্যে স্বামীকে বিষ খাওয়ানোর চেষ্টা, খাবারে কাঁচের গুঁড়ো মেশানো, এসব চলছিল। কিন্তু এবার সব বাধা পেরিয়ে দুঃসাহসিক পদক্ষেপ স্ত্রীর। উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) বরেলিতে ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও তাঁর ভাইয়েরা মিলে স্বামীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে অচৈতন্য করে, তারপর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে পুঁতে মারার চেষ্টা করলেন।

২১ জুলাই রাতে ইজ্জতনগর থানা এলাকার রাজীব নামে এক ব্যক্তির সাথে এহেন ঘটনা ঘটে। তিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, সেদিন রাতে মোট ১১ জন তাঁদের ভাড়া বাড়িতে হানা দেয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন রাজীবের স্ত্রী সাধনা এবং তাঁর পাঁচ ভাই—ভগবন দাস, প্রেমরাজ, হরিশ, লক্ষ্মণ এবং আরও একজন। রাতে হঠাৎ দলটি বাড়িতে ঢুকে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে প্রচন্ড মারধর করে। এরপর ভেঙে দেওয়া হয় দুই পা এবং এক হাত। তারপর তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে সিবি গঞ্জ এলাকার জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে মাটি খুঁড়ে গর্ত তৈরি করে তাঁকে পুঁতে মারার ছক কষা হয়।

কিন্তু রাখে হরি মারে কে! হঠাৎ সেখানে এক পথচারীর এসে পড়ায় হামলাকারীরা পালিয়ে যায় রাজীবকে ফেলেই। এরপর সেই ব্যক্তিই ফোন করেন অ্যাম্বুল্যান্সে। রাজীবকে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজীব জানিয়েছেন, আগেও তাঁকে মারার চেষ্টা করেছে সাধনা। একবার খাবারে বিষ মেশায়, আরেকবার কাঁচের টুকরো দেওয়া হয় খাবারে। পরিবারকে বললেও কেউ বিশ্বাস করেনি। ২০০৯ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে—একজন ১৪ বছর, অন্যজন ৮। বড় ছেলেটি বাবার পাশে দাঁড়িয়ে সত্যি ঘটনা জানিয়েছে।

এদিনের বীভৎস ঘটনার পর রাজীবের বাবা নেতরাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ইজ্জতনগর থানায় সাধনা ও তাঁর ভাইদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post