বলে দিতে পারে মৃত্যুর নিখুঁত সময়! ময়নাতদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেবে মাছির পরীক্ষা, গবেষণাস্থল বাংলা


মৃতদেহের উপর বনবন করে ঘোরে ওরা! নীলচে সবুজ রঙের মাছি। কিন্তু ওরাই যেন প্রকৃতির নিজের হাতে তৈরি করা এক এক জন ‘ব্যোমকেশ’, ‘ফেলুদা’। মৃত্যুরহস্য উন্মোচনে ওদের জুড়ি মেলা ভার। দেখতে নীলচে সবুজ রঙের। কোনও প্রাণীর কখন মৃত্যু হয়েছে, তা নির্ভুল ভাবে ধরিয়ে দেবে এমনই মাছিদের জিন। প্রাণীদেহের ময়নাতদন্তকে যা আরও সহজ করে তুলবে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা হয়েছে এই পশ্চিমবঙ্গেই।

দেহের ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে ‘ব্লো ফ্লাই’-এর গুরুত্ব আগেও ছিল। কারণ, কোনও প্রাণীর মৃতদেহ পড়ে পড়ে পচতে শুরু করলে তাতে প্রথম বাসা বাঁধে এই মাছি। ওই পচন ধরা দেহে ডিম পাড়ে তারা। আগে প্রাণীদের মৃত্যুর সময় জানতে এই ধরনের মাছির প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত। ফলে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়াতেও কিছুটা সময় লেগে যেত। এ বার সেই সমস্যা দূর করবে মাছির ডিএনএ বিশ্লেষণ। ‘ব্লো ফ্লাই’-এর ডিএনএ বারকোডিং (প্রজাতি শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ বিশ্লেষণের এক বিশেষ প্রক্রিয়া) করে জানা যাবে কোনও প্রাণীর কখন মৃত্যু হয়েছে। যদিও মানবদেহের ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া এখনও পরীক্ষিত নয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post