ভারত তার অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করেছে। ওড়িশা উপকূলে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ইন্টিগ্রেটেড এয়ার ডিফেন্স ওয়েপন সিস্টেম (IADWS) এর প্রথম ফ্লাইট পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই কৃতিত্ব অর্জনের জন্য DRDO, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
IADWS একটি বহু-স্তরযুক্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল সারফেস টু এয়ার মিসাইল, খুব স্বল্প পরিসরের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (VSHORDS) এবং লেজার-নির্দেশিত শক্তি অস্ত্র (DEW) সিস্টেমের সমন্বয়ে তৈরি। অপারেশন সিন্দুরের সাড়ে তিন মাস পর এই নতুন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষা করা হয়েছে।
‘সুদর্শন চক্র’ ভারতের উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এটি ২৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পাল্লার শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম এবং ১৫০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত আকাশে যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করে দিতে পারবে। সিস্টেমটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং লেজার-নির্দেশিত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা লক্ষ্যবস্তু নির্ভুলভাবে শনাক্ত ও ধ্বংস করতে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতি সেকেন্ডে ৫ কিলোমিটার গতিতে নিক্ষেপ করা যায়। ‘সুদর্শন চক্র’ স্থল-ভিত্তিক ও মহাকাশ-ভিত্তিক হাইব্রিড সিস্টেমের সমন্বয়ে তৈরি, যার মধ্যে রয়েছে উপগ্রহ ও রাডার নেটওয়ার্ক। এটি ব্যালিস্টিক, ক্রুজ এবং হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। সরকার ২০২৬ সালের মধ্যে সিস্টেমটি সম্পূর্ণরূপে মোতায়েন করার পরিকল্পনা করেছে, যার আনুমানিক ব্যয় প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা।
একই সপ্তাহে, ভারত তার অত্যাধুনিক মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘অগ্নি-৫’ সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। ওড়িশার চাঁদিপুরে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে এই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, ক্ষেপণাস্ত্রটি সমস্ত অপারেশনাল ও প্রযুক্তিগত পরামিতা সফলভাবে পূরণ করেছে। এই অর্জনের মাধ্যমে ভারতের কৌশলগত ক্ষমতা ও প্রতিরক্ষা শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।