পশ্চিমবঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' মুক্তির আর্জি, রাষ্ট্রপতিকে আবেদন ভিক্টরের


বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত আপকামিং মুভি দ্য বেঙ্গল ফাইলস।' আগামী ৫ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে ছবিটি। তার আগে কলকাতায় ট্রেলার লঞ্চে ঘটে গিয়েছে অপ্রীতিকর ঘটনা। ট্রেলার প্রদর্শনে বাধা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় সরকারকে তোপ দেগেছেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' নিয়ে উঠেছে একাধিক অভিযোগ। ইতিহাস বিকৃতিকরণ থেকে গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ওরফে 'গোপাল পাঁঠা'-র চরিত্রকে ভুলভাবে প্রতিস্থাপনের অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর নাতি। এছাড়াও বাঙালি অভিনেতা ঋত্বিক ঘটক থেকে ঋদ্ধি সেন বিবেকের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। দ্য বেঙ্গল ফাইলস-এ অভিনয়ের পরও এই বিতর্ক এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। এইরকম পরিস্থিতিতে বিবেকের পাশে জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়।

দ্য বেঙ্গল ফাইলস নিয়ে বিতর্কের জেরে পশ্চিমবঙ্গে এই ছবির মুক্তি ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। বাংলার সিনেপ্রেমী মানুষ যাতে বিনোদন থেকে বঞ্চিত না হয়, কোনও শিল্পীর সৃষ্টিকে অসম্মান করা না হয় সেই জন্য এগিয়ে এসেছেন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্য বেঙ্গল ফাইলস পশ্চিমবঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে মুক্তির জন্য রাষ্ট্রপতির সহায়তা চেয়েছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। তাঁর মতে, 'আমরা মনে করি যে পশ্চিমবঙ্গে এই ছবির প্রদর্শনও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বা ইচ্ছাকৃতভাবে দমন করা হতে পারে। এ ধরনের পদক্ষেপ শুধু শিল্পের স্বাধীনতাকেই কেড়ে নেয় না বরং মানুষের সত্য জানার অধিকার এবং নিজেদের মত প্রকাশের অধিকারও কেড়ে নেয়। তাই ভারতের মাননীয় রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানাই যে ছবিটির প্রদর্শন যেন কোনও ভয় বা বাধা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে হয় এবং শিল্পী ও দর্শক সুরক্ষিত থাকে।'

প্রসঙ্গত, ১৬ অগাস্ট স্বস্ত্রীক পল্লবীকে নিয়ে কলকাতায় আসেন বিবেক। কিন্তু, ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানে 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস'-র ট্রেলার কলকাতায় প্রদর্শনের সম্মতিই দেয়নি মমতার সরকার। তিলোত্তমার বুকে দাঁড়িয়ে এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পরিচালক। ট্রেলার প্রদর্শন চলাকালীন আকস্মিকভাবে অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, 'এখানে অরাজকতা চলছে। এটি একনায়কতন্ত্রের উদাহরণ।' অগ্নিহোত্রীর অভিযোগ, 'এটা ছিল প্রাইভেট স্ক্রিনিং। আমাদের সমস্ত অনুমতি ছিল। তবুও পুলিশকে ব্যবহার করে ট্রেলার দেখানোতে বাধা দেওয়া হল। পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক স্বার্থে পুলিশকে কাজে লাগানো হচ্ছে।'

Post a Comment

Previous Post Next Post