জানা গিয়েছে, জেলে রাউন্ড দেওয়ার ১৫ নম্বর সেল থেকে ওই বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, সে বিছানার চাদর ব্যবহার করে ফাঁসির দড়ি তৈরি করেছিল। তৎক্ষণাৎ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মহারাষ্ট্র সংগঠিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত হন সলমন ত্যাগী। তার দীর্ঘ অপরাধের রেকর্ড ছিল। যার মধ্যে তোলাবাজি সুপারি কিলিংয়ের মতো মামলাও ছিল। কুখ্যাত নীরজ বাওয়ানা গ্যাংয়ে অপরাধমূলক কাজে হাতে খড়ি সলমনের। কিন্তু পরে নিজের নেটওয়ার্ক তৈরি করার চেষ্টা করেছিল সে।
জানা গিয়েছে, ত্যাগী লরেন্স বিষ্ণোই সিন্ডিকেটের সঙ্গেও নিজেকে যুক্ত করার চেষ্টা করেছিল ত্যাগী। জেলে থাকাকালীনও, সে তার সহযোগীদের নির্দেশ দিতে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, ৫০ লক্ষ টাকা আদায়ের জন্য গত বছর জেলের ভিতর থেকে সহকারীদের নির্দেশ দেয় ত্যাগী। দুই ব্যবসায়ীর উপর জেলের ভিতর থেকেই হামলার ষড়যন্ত্র করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের আস্থা অর্জনের জন্যই এই কাজ করেছিল সে বলে অনুমান পুলিশের।