‘কয়েকজন পশুপ্রেমীর জন্য শিশুদের জীবন যেন বিপদে না পড়ে’, পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের। বিচারপতি পারদিওয়ালা বলেন, “এটা আমাদের জন্য করছি না, জনস্বার্থেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই কোনও ধরনের আবেগকে প্রাধান্য দেওয়া যাবে না। দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। কিছু পশুপ্রেমীর জন্য আমাদের সন্তানদের বলিদান দিতে পারি না।”
মামলায় বিচারপতিরা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার পরামর্শ চাওয়া হয়। তিনি জানান, দিল্লিতে একটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছিল পথ কুকুরদের স্থানান্তরিত করার জন্য, কিন্তু পশুপ্রেমীরা আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসায় সেই কাজ আটকে যায়।
অ্যামিকাস কিউরি গৌরব আগরওয়ালকে বিচারপতি পারদিওয়ালা বলেন, “সমস্ত এলাকা থেকে পথ কুকুরদের তুলে নিয়ে গিয়ে দূরে কোথাও স্থানান্তর করুন। আপাতত নিয়ম ভুলে যান। যারা জলাতঙ্কে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের পশুপ্রেমীরা কি ফিরিয়ে আনতে পারবে? পথকুকুর মুক্ত করতে হবে আমাদের সব রাস্তা। পথকুকুরদের দত্তক নেওয়াও বন্ধ।”
নয়ডা, গাজিয়াবাদ, গুরুগ্রামে ডগ শেল্টার তৈরি করতে, সেখানে পথকুকুরদের স্থানান্তর করে শীর্ষ আদালতকে আপডেট জানাতে বলা হয়েছে। এই সব শেল্টারে কুকুরদের সামলাতে পারেন, এমন পেশাদার থাকতেই হবে। কুকুরদের নির্বীজকরণ ও টিকাকরণ করতে হবে। সিসিটিভিও বাধ্যতামূলকভাবে বসাতে হবে যাতে কোনও কুকুর শেল্টার থেকে পালিয়ে না যাায়। কুকুর কামড়ের ঘটনার ক্ষেত্রে হেল্পলাইন চালু করতেও বলা হয়েছে।
র্যাবিসের ভ্যাকসিনের উপলব্ধ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্ট। কীভাবে এই কাজ করা হবে, তার সিদ্ধান্ত নেবে স্থানীয় প্রশাসন। প্রয়োজনে বিশেষ বাহিনীও তৈরি করতে পারে।