‘আর দু’মাস বলব, তার পরে অ্যাকশন...’, দোকান-রেস্তোরাঁর হোর্ডিং-এ বাংলা ভাষা আবশ্যিক, কড়া বার্তা মেয়রের



বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে প্রতিনিয়ত বাঙালিদের উপরে নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে। এর প্রতিবাদে প্রায়ই সংসদ চত্বর উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। কিছুদিন আগেই শহরের সমস্ত বাণিজ্যিক হোর্ডিং, বিজ্ঞাপন ও দোকানের সাইনবোর্ডে অন্য ভাষার পাশাপাশি বাংলাও রাখতে হবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার তিনি ফের সকলকে সে কথা মনে করিয়ে দিলেন। সেই সঙ্গে সাফ জানিয়ে দিলেন, যদি কেউ সেই নিয়ম না মানেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কী সেই পদক্ষেপ?
শুক্রবার মেয়র বলেন, ‘আমরা এর আগে নোটিফিকেশন দেওয়া সত্ত্বেও সাইন বোর্ডে কেউ কেউ বাংলা ভাষায় লেখেননি। আমরা অনুরোধ করার পরে অনেক বড় হোটেল নীচে ছোটো করে বাংলায় লিখেছে। আমি অনুরোধ করব, সেটা যাতে আরও বড় করে লেখা হয়। যে সাইন বোর্ডে বাংলা লেখা থাকবে না, সেটা আমরা গিয়ে নামিয়ে দেব। সেখানে যে কোনও ভাষা থাকুক আমাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু অবশ্যই যেন বাংলায় লেখা থাকে। দোকান, হোটেল যেখানে যা রয়েছে সব জায়গায় বাংলা লিখতে হবে।’

এর পরেই তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘এটা নিয়ে অনেকদিন ধরে আমরা বলছি। আর দু’মাস বলব। তার পরে আমরা অ্যাকশন নেব। অ্যাকশন বলতে আমার হাতে তো পুলিশ নেই। অ্যারেস্টেরও পাওয়ার নেই। আমরা শুধু গিয়ে বোর্ড নামিয়ে দেব। বেসরকারি ও সরকারি সমস্ত হাসপাতালকে আমার অনুরোধ, আপনারা বাংলায় লিখুন।’ বাংলা ভাষায় লেখার জন্য তিনি বিজ্ঞাপন কোম্পানিগুলিকেও অনুরোধ জানিয়েছেন।
তবে এই নিয়ম যে কলকাতায় কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসগুলিতেও লাগু হবে, সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, সেই সব অফিসের সাইন বোর্ডেও বাংলায় লিখতে হবে। তাঁর কথায়, ‘সরকারি যে কোনও অফিসে তো বাংলার মানুষের জন্যই পরিষেবা দেওয়া হয়। তাই সেখানে বাংলায় লিখতে হবে। যাতে বাংলার মানুষের পড়তে সুবিধা হয়। আমি ওদেরকেও চিঠি পাঠাব। রেল, কোর্ট, ইনকাম ট্যাক্স সবাইকে চিঠি পাঠাব। সকলকে বলব, আপনারা ইংরেজি, হিন্দির সঙ্গে বাংলাটাও লিখুন।’

Post a Comment

Previous Post Next Post