দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছিলেন তাঁরা। আচমকা সকলেই চিহ্নিত হলেন অনুপ্রবেশকারী হিসাবে। বাংলাদেশি সন্দেহে ১২ জনকে গ্রেফতার করল মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। অভিযোগ, দালাল মারফত এঁরা পশ্চিমবঙ্গে ঢোকেন। সেখান থেকে মধ্যপ্রদেশে পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেছিলেন।
গত সপ্তাহে পানিপথে বাংলাদেশি সন্দেহে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশ পুলিশ জানাচ্ছে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং হরিয়ানা পুলিশের সাহায্য নিয়ে মহারাজপুরা এলাকায় হানা দিয়েছিল তারা। তাতে মোট ১২ জনকে আটক করা হয়। অভিযুক্তেরা ১২ বছর ধরে গ্বালিয়রের বাসিন্দা। তাঁদের কাছে বৈধ কোনও নথিপত্র ছিল না। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে নেন, তাঁরা আসলে বাংলাদেশের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে এ-ও খবর, এই ‘বাংলাদেশি’-রা ছিলেন মহারাজপুরা এয়ারবেসের কাছে। নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা এটি। তাই গোয়েন্দারা পদক্ষেপ করেন। ধৃতদের প্রত্যেকের মোবাইল পরীক্ষা করা হচ্ছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। জানানো হয়েছে ধৃত ‘বাংলাদেশি’দের নাম। এঁরা একই পরিবারেরই সদস্য। পুলিশ জানিয়েছে, ৪০ বছরের মহম্মদ শরিফ, তাঁর স্ত্রী সিলিমা, ছেলে রফিক, মেয়ে আদুরি এবং উজা, ভাইপো আশিক ছাড়াও চুমকি এবং রাতুল শেখ নামে দুই আত্মীয়ও পাকড়াও হয়েছেন। এঁরা আদতে যশোরের বাসিন্দা। শরিফের বাবা নূর পরিবারের ‘প্রথম অনুপ্রবেশকারী।’ তিনি ১৫ বছর আগে অবৈধ ভাবে ভারতে ঢোকেন। বেশ কিছু দিন আগে গ্বালিয়রে তাঁর মৃত্যু হয়। নূরের পরিবার পাকাপাকি ভাবে গ্বালিয়রেই বসবাস করছিল।
মধ্যপ্রদেশ পুলিশের দাবি, শরিফ জেরায় স্বীকার করে নিয়েছেন যে, অবৈধ এবং অনৈতিক ভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেন তিনি। ভারতীয় দালালদের ৪ হাজার টাকা দিয়ে কলকাতায় আসেন প্রথমে। কিছু দিন শ্রমিকের কাজ করতেন। তার পর চলে যান মধ্যপ্রদেশ। সেখানে কাজ জোগাড় করার পরে পরিবারের বাকিদের নিয়ে যান।