বিধানসভার বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয় এখনই: হাইকোর্টে রাজ্য


বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচ গত শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কোনও নতুন অভিযোগের ভিত্তিতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে রাজ্যের বাধা নেই। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আগেই রুজু হওয়া চারটি মামলায় রাজ্য সরকার ও সিবিআই–কে যৌথ ভাবে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে সেই চারটি মামলায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে সাময়িক স্বস্তি দিল রাজ্য সরকারই। এই চারটি মামলার মধ্যে রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এসসি–এসটি (নির্যাতন প্রতিরোধ) আইনে মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার মামলা। বিরবাহার ভাইও পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা খারিজ করতে চেয়ে শুভেন্দু আবেদন করেন হাইকোর্টে। এ দিন হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে রাজ্য জানায়, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ করা হবে না।

২০২১ সালে ঝাড়গ্রামের নেতাইয়ে শুভেন্দু অধিকারীর তাঁর নাম করে কুমন্তব্য করেছেন এবং সেই কুমন্তব্যের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। তাঁর ভাই–ও পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা খারিজ করতে চেয়ে হাইকোর্টে শুভেন্দুর আবেদনের শুনানিতে এ দিন রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এ ক্ষেত্রে রাজ্য এখনই কোনও পদক্ষেপ করবে না।

বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, আগামী ১১ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানিতে মামলার কেস ডায়েরি আদালতে পুলিশকে পেশ করতে হবে, তার আগে মামলার মূল অভিযোগকারীকে নোটিস দিতে হবে। অভিযুক্তকে কোনও রকম রক্ষাকবচ না–দেওয়ার জন্য রাজ্য আবেদন করে। বিচারপতি সেনগুপ্তের বক্তব্য, মূল অভিযোগকারীর বক্তব্য শোনার পরেই রক্ষাকবচ দেওয়া বা না–দেওয়া নিয়ে এই আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।

আবার ঝাড়গ্রামেরই সাঁকরাইল থানা ও কলকাতার বেলেঘাটা থানায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে হওয়া দু’টি মামলায় এ দিন তদন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। রাজ্যও জানিয়ে দেয়, ওই দুই মামলায় তারা এখনই অগ্রসর হচ্ছে না পুলিশ। হাইকোর্টের নির্দেশ, ১১ নভেম্বর এই দু’টি মামলারও কেস ডায়েরিও আদালতে আনবে পুলিশ।


Post a Comment

Previous Post Next Post