বর্ষা বিদায় নিয়েছে বেশ কিছুদিন। তবে বৃষ্টির বিরাম নেই। দক্ষিণ-দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সেই নিম্নচাপ থেকেই জন্ম নেবে ‘মান্থা’। আগামী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘূর্ণিঝড় ল্যান্ডফল করবে বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে একাধিক জেলায়।
সোমবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে ছট পুজোর দিন সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে উপকূল ও উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইতে পারে। বুধবার হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম— এই ছয় জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। ২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ২৭ তারিখের মধ্যে তাঁদের উপকূলে ফিরে আসতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আগামী দু’দিন শহরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দিনভর পরিষ্কার আকাশ থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে দক্ষিণা বাতাসের দাপটে সোমবার রাতে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। আংশিক মেঘলা থাকবে আকাশ। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শহরে। সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া (৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার) হতে পারে।