সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের মালদা জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বকসির বিরুদ্ধে ৷ এনিয়ে সেচমন্ত্রী-সহ ওই দফতরের প্রতিমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আরএসপির মালদা জেলা সম্পাদক ৷ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে জেলাশাসকের কাছেও ৷ যদিও প্রতিক্রিয়ায় রহিম সাহেব অভিযোগকারীকে পাগল আখ্যা দিয়েছেন ৷ গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেচ প্রতিমন্ত্রী ৷
আরএসপির জেলা সম্পাদক সর্বানন্দ পাণ্ডে নিজের অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, প্রয়াত গনি খান চৌধুরী রাজ্যের সেচমন্ত্রী থাকাকালীন রতুয়া 1 নম্বরে বিডিও অফিসের সামনে একটি অফিস-সহ বাংলো তৈরি করেছিলেন ৷ সেচ দফতরের সেই জায়গায় পার্কিং জোনও ছিল ৷ পরবর্তীতে চারদিক পাঁচিল দিয়ে ঘেরা সেই বাংলো এবং অফিস পরিত্যক্ত হয়ে যায় ৷
বাম জমানায় 2008-10 সাল পর্যন্ত রাজ্যের সেচমন্ত্রী ছিলেন সুভাষ নস্কর ৷ সেই সময় তাঁর অনুমোদনক্রমে ওই জমিটি লিজ নেন বর্তমানে মালতীপুরের বিধায়ক ও তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বকসি ৷ তিনি নিজের এনজিও নর্থ মালদা রুরাল ডেভলপমেন্ট সোসাইটির নামে জমিটি লিজ নিয়েছিলেন ৷ 2011 সালে আরএসপির বিধায়ক নির্বাচিত হন রহিম সাহেব ৷ তারপর তিনি আর ওই জমির লিজের পুনর্নবীকরণ করাননি ৷ কোনও অনুমোদন ছাড়াই তিনি সরকারি জমি ও বাড়ি দখল করে রাখেন বলে অভিযোগ ৷ পরবর্তীতে তিনি ওই জমিতে নিজের কিন্ডারগার্টেন স্কুল খুলে ব্যবসা শুরু করে দেন ৷
2019 সালে রহিম সাহেব তৃণমূলে যোগদান করেন ৷ এর পরেই তিনি বিএল অ্যান্ড এলআরও অফিসের মাধ্যমে বেআইনিভাবে নিজের এবং তাঁর স্ত্রীর নামে ওই জমির দলিল বানিয়ে নেন ৷ বর্তমানে ওই জমির বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা ৷ এই অভিযোগ তুলে সর্বানন্দ পাণ্ডে যথাযথ তদন্ত-সহ রহিম বকসি ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা খাতুনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ৷
সর্বানন্দ পাণ্ডের বক্তব্য, "সরকারি জমি ও বাংলো দখল করে আবদুর রহিম বকসি সেখানে বড় ব্যবসা চালাচ্ছেন ৷ নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তিনি এই কাজ করেছেন ৷ তৃণমূলে যোগদানের পর তিনি কৌশলে সরকারি এই জমির দলিল নিজের এবং স্ত্রী আয়েশা খাতুনের নামে বের করে নিয়েছেন ৷ এই কাজে সেচ দফতর এবং বিএল অ্যান্ড এলআরও দফতরের কর্মীদের একাংশ জড়িত বলেই আমার মনে হয় ৷ আমি গোটা বিষয়টির যথাযথ তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপের আবেদন জানাচ্ছি ৷"