শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে খেতে হলো গণপিটুনি, পুলিশের জালে অভিযুক্ত জামাই


পারিবারিক অশান্তির কারণে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি থাকছিলেন গৃহবধূ। সেই রাগে শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয়ে শ্বশুর ও শাশুড়িকে কোপাল গুণধর জামাই। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটছে কুলতলি থানার শ্যামনগর গ্রামে। অভিযুক্ত জামাইয়ের নাম কালিদাস নস্কর। বাড়ি কুলতলি থানার দেউলবাড়ি গ্রামে।

মাস সাতেক আগে শ্যামনগর গ্রামের জগদীশ দাসের মেয়ে সুস্মিতার দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কালিদাসের। বিয়ের পর থেকে প্রতিনিয়ত অশান্তি লেগেই থাকত দম্পতির। তার জেরেই সুস্মিতা স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরে আসার কথা বললেও সুস্মিতা না ফেরায় মঙ্গলবার রাতে আচমকাই শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তাঁকে জোর করে নিয়ে আসার চেষ্টা করে কালিদাস। সুস্মিতার চিৎকারে বাবা ও মা মেয়েকে জামাইয়ের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিতে এলে কালিদাস একটি ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে শ্বশুর শাশুড়িকে। তাঁদের আর্ত চিৎকারে প্রতিবেশীরা বেরিয়ে পড়ে বাড়ি থেকে। কালিদাস পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে ধরে ফেলে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা।

কুলতলি থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত জামাইকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতকে বুধবার বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই দম্পতিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে জামতলায় জয়নগর-কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে।

Post a Comment

Previous Post Next Post