দুর্গাপুর: ‘গণধর্ষণ’ যে নয়, তা আগেই পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে পুলিশ। এবার ফরেন্সিক পরীক্ষায় নির্যাতিতার পোশাকে সহপাঠীর যৌনরসের নমুনা পাওয়া গেল বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। যদিও এখনও সব অভিযুক্তের পোশাকের ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসেনি।
দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর ‘গণধর্ষণের’ অভিযোগকে কেন্দ্র করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিরোধীরা। বিজেপির লাগাতার ৬ দিনের ধরনা মঞ্চ ফ্লপ। প্রথম দিন সিটি সেন্টারে ধরনা শুভেন্দু অধিকারী শুরু করলেও বিজেপির প্রথম সারির নেতারা আসেননি। শেষ করার কথাও ছিল শুভেন্দুর। কিন্তু শেষ দিনে তিনিও আর পা মাড়াননি ধরনা মঞ্চে। সিপিএমের মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় মিছিল করলেও তার আগেই এই ঘটনা আসলে কী তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
পুলিশের দাবি, ওটা গণধর্ষণ নয়। নির্যাতিতা ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে সহপাঠী হস্টেল থেকে নিয়ে যায় এবং কলেজের পিছনের বনাঞ্চলে সেখানে সে ছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’ করে। অভিযুক্ত বাকিরা তখন ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। তারা বাধা দেওয়ায় সহপাঠী মেয়েটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। অভিযুক্তরা মেয়েটিকে চড়-চাপড় মারে। মোবাইল কেড়ে নেয়। টাকা-পয়সা দাবি করে। সহপাঠী ফিরে আসবে এই আশায় অনেকক্ষণ আটকে রাখা হয় ছাত্রীকে। অনেকক্ষণ বাদেও ছেলেটি ফিরে না আসায় তারা মেয়েটিকে ছেড়ে দেয়।
এদিকে, ঐ সহপাঠী পালিয়ে গিয়ে খানিকটা দূরে মেয়েটির জন্য অপেক্ষা করছিল। কিন্তু, মেয়েটি দীর্ঘ সময় না আসায় সে তখন আবার ওই জঙ্গলে যায় এবং মেয়েটিকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে হস্টেলে প্রবেশ করে। সহপাঠী ব্যতীত অন্য ওই চার অভিযুক্তই ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত নয়, এমনটাই বলছে পুলিশ। ওই অভিযুক্তদের বক্তব্য, তারা সব রকমের পরীক্ষা দিতে রাজি। পুলিশের কাছে তারাই দাবি করেছে, ডিএনএ টেষ্ট করা হোক। ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হোক। পুলিশকে জেরায় ওই পাঁচ অভিযুক্ত নাকি বলেছে, ওই বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ছেলে মেয়েরা প্রচন্ড অসভ্যতামি, নোংরামি করে। সন্ধ্যার পর নিয়ম করে বহু পড়ুয়া ক্যাম্পাসের পিছনের জঙ্গলে যায় শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হতে। এদের কাছ থেকেই চুরি, ছিনতাই কিংবা ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করে এই পাঁচ অভিযুক্ত-সহ বেশ কয়েকজন। আগামী ২২ অক্টোবর ধৃত ছ’জনকেই আদালতে তোলা হবে।