ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রস্তুতি তুঙ্গে সমস্ত রাজনৈতিক দলের। তার মাঝে এসআইআরকে হাতিয়ার করে বিজেপির লক্ষ্য, কাঁটাতার পেরিয়ে এরাজ্যে প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের নাম ‘অবৈধ ভোটার’ তকমা দিতে বাদ দেওয়া। এদিকে একজন বৈধ ভোটারের নামও যেন বাদ না যায়, সেই লক্ষ্যে তৃণমূলের লড়াই। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বাদ দিতেই ভোটার তালিকায় এই বিশেষ নিবিড় সংশোধন বলে দাবি কেন্দ্রের। তবে এই মুহূর্তে চর্চার কেন্দ্রে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের এক বেফাঁস মন্তব্য। বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তে কাঁটাতার নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মাটিয়ারি বানপুরে বিজেপির এক সভা ছিল। সেই সভায় বিজেপিতে যোগ দেন বেশ কয়েকজন। ফলে এই এলাকায় ছাব্বিশের ভোটের আগে গেরুয়া শিবির আরও খানিকটা শক্তিশালী হল বলে দাবি। আর এই সভাতেই রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বক্তব্য রাখতে গিয়ে কার্যত নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়ে ফেলেন। তিনি বলেন, ”কথা দিচ্ছি, এবারের ভোটে আমরা জিতলে বাংলাদেশের সঙ্গে আর কাঁটাতার রাখব না। আগেও এক ছিল দুই বাংলা, আবার এক হয়ে যাবে।” তাঁর আরও মন্তব্য, ”আর তৃণমূল জিতলেও কাঁটাতার আর থাকবে না। কিন্তু ওই দেশটা বাংলাদেশই থেকে যাবে।”
স্বভাবতই বিজেপি সাংসদের এহেন মন্তব্যে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, সীমান্ত রাজ্য হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ বাংলায় অনুপ্রবেশ করে জনবিন্যাস বদলে দিচ্ছেন বলে ঘনঘন অভিযোগ শোনা যায় দিল্লির বিজেপি নেতাদের গলায়। এর নেপথ্যে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের পরোক্ষ মদত আছে বলেও অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। এই তত্ত্বই বিজেপির নির্বাচনী লড়াইয়ের হাতিয়ার। এখন এসআইআর শুরু হওয়ায় সেসব অনুপ্রবেশকারীদের উৎখাত হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের দলের সাংসদেরই বাংলাদেশের সঙ্গে কাঁটাতার তুলে দেওয়া নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য দলেরই অস্বস্তি বাড়াল নিঃসন্দেহে।