নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি এসআইআর কেন? প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করলেন পিন্টু কারার। মামলাকারীর দাবি, এসআইআরের সময়সীমা বাড়ানো হোক। আগামী সপ্তাহেই শুনানির সম্ভাবনা।
গত সোমবার বাংলায় এসআইআর ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রক্রিয়া। আমজনতার মনে হাজার হাজার প্রশ্ন। তৃণমূলের দাবি, ভোটে ফায়দা নিতে বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ছাব্বিশের আগে এসআইআর। এই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এরই মাঝে শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে এসআইআর নিয়ে মামলা দায়েরের অনুমতি চান মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তাতেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল জানান, অনুমতির কোন প্রয়োজন নেই, মামলা দায়ের হলে শুনানি হবে। জানা গিয়েছে, দায়ের হয়েছে মামলা।
জানা গিয়েছে, মামলাকারী SIR-এর সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছেন। আদালতের নজরদারিতে SIR করার কথাও বলেছেন। পাশাপাশি কেন SIR প্রয়োজন? তা স্পষ্ট করার কথাও বলেছেন। একইসঙ্গে ২০০২ সালের সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা প্রকাশের আর্জি করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে বাংলায় শেষবার এসআইআর হয়েছিল। সেই মোতাবেক এবারের এসআইআরে ওই বছরের ভোটার তালিকাকে গুরুত্ব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যাঁদের নাম সেই বছরের তালিকায় রয়েছে, তাঁদের আর কোনও অতিরিক্ত নথি দেখাতে হবে না বলে জানানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও আমজনতার মনে ভয় যদি নাম বাদ যায়, কী হবে?