ভোররাতে ঘন কুয়াশা দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। সকাল থেকে হালকা হিমেল পরশ । অফিসিয়ালি শীত (Winter) আগমনের ঘোষণা হয়নি বটে, কিন্তু আবহাওয়া পরিবর্তন বেশ অনুভব করছে বাঙালি। কিন্তু সুখের সময় বেশি দিন স্থায়ী হওয়ার নয়। ঘূর্ণিঝড় মন্থা ,(Cyclone Montha) যেতে না যেতেই নতুন করে হাজির নিম্নচাপ। আলিপুর হাওয়া অফিস (Alipore weather department) সূত্রে জানা গেছে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা ক্রমশ সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু কিছু এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার থেকে বৃষ্টি (Rain) বাড়বে।
বাংলা জুড়ে ঝকঝকে মনোরম আবহাওয়া সকাল থেকেই। উত্তরবঙ্গে পরিষ্কার আকাশ, সহজেই কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শন মেলায় খুশি পর্যটকরা। অন্যদিকে সিকিমেও পর্যটকের আনাগোনার মাঝেই তুষারপাত শুরু। তাপমাত্রা শূন্যের নীচে। উত্তরবঙ্গে আপাতত ভারী দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই। কুয়াশা ও ঠান্ডার দাপট বাড়ছে।দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের মতো পার্বত্য জেলাগুলিতে এখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রির ঘরে ঘোরাফেরা করছে। অন্যদিকে আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গে ঠান্ডার আমেজ বহাল থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জেলায় ইতিমধ্যেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে নেমে গেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে আজ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কলকাতা তাপমাত্রার বড়সড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।