ছুরিকাঘাতের সন্দেহ, তদন্তে পরিবার- রব রেইনার মৃত্যুকাণ্ডে চাঞ্চল্য


লস অ্যাঞ্জেলেসের ব্রেন্টউড এলাকায় নিজ বাড়িতে কিংবদন্তি পরিচালক-অভিনেতা রব রেইনার এবং তাঁর স্ত্রী, ফটোগ্রাফার মিশেল সিঙ্গার রেইনারের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর, ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই পরিবারের এক সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক জানান, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে দু’জনই ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে তিনি বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে অস্বীকার করেন।

লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশের ডেপুটি চিফ, অ্যালান হ্যামিল্টন রবিবার রাতে এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, এখনও পর্যন্ত কোনও সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা যায়নি। তিনি বলেন, "এই ঘটনার প্রকৃত সত্য জানার জন্য আমরা পরিবারের প্রতিটি সদস্যের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি।” পুলিশ সূত্রে খবর, শহরের পশ্চিম দিকের, অভিজাত ব্রেন্টউড পাড়ায় যে দু’জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের পরিচয় আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে।

রব রেইনার ছিলেন হলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী ও সফল পরিচালক। ১৯৮০ ও ৯০-এর দশকে নির্মিত তাঁর ছবিগুলি আজও সিনেমাপ্রেমীদের কাছে স্মরণীয়- ‘দিস ইজ স্পাইনাল ট্যাপ’, ‘আ ফিউ গুড মেন’, ‘হোয়েন হ্যারি মেট স্যালি’ এবং ‘দ্য প্রিন্সেস ব্রাইড’ তার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। এরও আগে, ১৯৭০-এর দশকে নরম্যান লিয়ারের জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘অল ইন দ্য ফ্যামিলি’-তে ‘মিটহেড’ চরিত্রে অভিনয় করে, তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং দুটি এমি পুরস্কার জেতেন।

২০২৩ সালে প্রয়াত কিংবদন্তি, প্রযোজক নরম্যান লিয়ারের পরিবার এক বিবৃতিতে এই মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নরম্যান প্রায়ই রবকে নিজের ছেলের মতো ভাবতেন। রব ও মিশেল তাঁদের শিল্পকর্ম, সামাজিক সক্রিয়তা এবং মানবকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে দেশকে আরও ভালো করে তুলতে আজীবন চেষ্টা করেছেন।”

লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র, কারেন বাসও এই ঘটনাকে শহরের জন্য, এক অপূরণীয় ক্ষতি বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, "রব রেইনার আমেরিকান সংস্কৃতি ও সমাজে যে অবদান রেখেছেন, তা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।"

কমেডি কিংবদন্তি কার্ল রেইনারের পুত্র রব রেইনার, ১৯৮৯ সালে মিশেল সিঙ্গার রেইনারকে বিয়ে করেন। ‘হোয়েন হ্যারি মেট স্যালি’ ছবির সময় তাঁদের পরিচয় হয়। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। এর আগে, ১৯৭১ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি অভিনেত্রী-পরিচালক পেনি মার্শালের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post