বাবরি-শিলান্যাসে গিয়েও অস্বীকার! দুই ভাইয়ের ‘আমি–নই’ নাটক, হাসাহাসি সোশ্যাল মিডিয়ায়


বাবরি মসজিদ বিতর্কে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ফের শিরোনামে। বাবরি মসজিদ পুনর্নির্মাণের দাবি, তৃণমূল-বিরোধী কার্যকলাপ এবং বিজেপির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ, এই অভিযোগেই ৪ ডিসেম্বর তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। একইদিনে প্রকাশ্য সভা থেকে নাম না করে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই সভা থেকেই বেরিয়ে এসে ক্ষুব্ধ হুমায়ুন ঘোষণা করেছিলেন, “৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের শিলান্যাস হবেই হবে।”

নির্ধারিত দিনে সেই ঘোষণা পূরণও করেছেন বিধায়ক। ৬ ডিসেম্বর বিশাল জনসমাগমের মধ্যে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস সম্পন্ন করেন হুমায়ুন কবীর। সেই মঞ্চ থেকেই তিনি তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের ডাক দেন।

তৃণমূল সভাপতির উপস্থিতি ঘিরে বিতর্ক
তবে সেদিনের শিলান্যাস মঞ্চে দেখা গিয়েছিল এক অস্বাভাবিক দৃশ্য। উপস্থিত ছিলেন ডোমকল টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি সাবের আলী শেখ। মঞ্চে দাঁড়িয়েই তিনি বলেন, “আমরা তৃণমূল করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড় ভুল করেছেন। জগন্নাথ মন্দির হলে সমস্যা নেই, আর একজন মুসলিম নেতা মসজিদ করলে তাকে বহিষ্কার করা হলো! আজই সব মুসলিম বিধায়কদের পদত্যাগ করা উচিত। একজন মুসলমানকে অপমান মানে সারা ভারতের মুসলমানকে অপমান। এই সরকারকে আর রাখা যাবে না, পরিবর্তন চাই।”

বিপক্ষের তোপ
সিপিআইএম নেতা মুস্তাফিজুর রহমান রানা দাবি করেন, “তৃণমূলের অর্ধেকের বেশি নেতা চান দল পরাজিত হোক। নেতৃত্ব থেকে বুথ, সবাই মনে করেন তৃণমূল সীমা ছাড়িয়ে গেছে।”

কংগ্রেস নেতা মীর এমদাদুল হক বলেন, “সাবের আলী ঠিক কথাই বলেছেন। দুর্নীতি আর মুসলিমদের অবহেলা নিয়েই ক্ষোভ বাড়ছে। পরে ও অস্বীকার করেছে কারণ দুর্নীতির ভাগ পায়নি।”

Post a Comment

Previous Post Next Post