গতি কেড়ে নিল প্রাণ
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রিন্স তাঁর KTM ডিউক বাইকটি প্রতি ঘণ্টা ১৪০ কিলোমিটার গতিতে চালাচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি বাইকটির উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাটি এতটাই ভয়ানক ছিল যে প্রত্যক্ষদর্শীদের শিরদাঁড়ায় শীতল স্রোত বয়ে যায় । রাস্তায় ছিটকে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার মাথায় প্রচণ্ড জোরে আঘাত লাগে। দেহ থেকে আলাদা হয়ে যায় মাথাটি। বিচ্ছিন্ন মুণ্ড ছিটকে পড়ে দূরে। দুর্ঘটনার সময় তার মাথায় হেলমেটও ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। তাই এভাবে ছিটকে পড়ার পর বাঁচার কোনও সুযোগই ছিল না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিখ্যাত ছিল প্রিন্স
প্রিন্স প্যাটেল তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে PKR Vlogger নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বাইক স্টান্ট এবং রাইডিং ভিডিও আপলোড করতেন। তাঁকে অনেক পুরনো ভিডিওতেও দ্রুত গতিতে স্টান্ট করতে দেখা গিয়েছে। তিনি কোনও নিরাপত্তা ছাড়াই স্টান্ট করতেন। পুলিশের মতে, প্রিন্স সুরাতে নেট-প্রভাবী হিসেবে বেশ প্রচলিত মুখ। অনেক যুবক তাকে অনুসরণ করত।
দুর্ঘটনায় নিহত প্রিন্স তাঁর মায়ের একমাত্র ছেলে ছিলেন। এই ঘটনায় পরিবারকে অসহায় করে দিয়েছে। আত্মীয়স্বজন এবং স্থানীয়রা বলছেন, প্রিন্স ছোটবেলা থেকেই বাইকিংয়ে অনুরক্ত ছিল। তাঁর KTM বাইকটি বড় প্রিয় ছিল। নাম রেখেছিলেন ‘লাইলা’। সেই প্রিয় যানই তাঁর সর্বনাশের কারণ হল।
সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে দুর্ঘটনা
পুলিশ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, প্রিন্স ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় দ্রুত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। বাইক ডিভাইডারে ধাক্কা মারে এবং দূরে গিয়ে থেমে যায়, যেখানে প্রিন্স রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান। মাথায় গুরুতর আঘাতের লাগে, সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান তিনি। এই ঘটনার পর দুটি বড় প্রশ্ন উঠছে । মাত্র ১৮ বছর বয়সে কীভাবে তিনি হাই-পারফরম্যান্স রেসার বাইক পেলেন ? বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তাঁকে হেলমেট পরতে কেন বলা হয়নি ? পুলিশ জানিয়েছে, যদি তিনি হেলমেট পরে থাকতেন, তাহলে হয়তো এই বড় দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।