সকাল থেকেই বঙগ্ রাজনীতিতে একটাই চর্চা- SIR... পশ্চিমবঙ্গের বহুল প্রতীক্ষিত ভোটার তালিকা অবশেষে মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত খসড়া তালিকায় স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, কোন কোন নাগরিক নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হয়েছেন এবং কারা তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। এই পর্যায়ে রাজ্যের প্রতিটি নাগরিককে নিজের ভোটার সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের তরফে বিধানসভা কেন্দ্র ও বুথভিত্তিক ভোটার তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে প্রতিটি এলাকায় কতজন ভোটারের নাম বাদ পড়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এবারের খসড়া ভোটার তালিকা থেকে রাজ্যজুড়ে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে।
এই প্রসঙ্গে, তারকারা আদৌ কী বলছেন? তাঁরা কি এই ঘটনার ভাল কিছু দেখছেন? আদৌ এই ঘটনার প্রভাব পড়বে আসন্ন বিধানসভায়? এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল চন্দন সেনের সঙ্গে। কী বলছেন তিনি? তাঁর কথায়. "৩-৩ বার প্রমাণিত হয়েছে এটা একটা প্যাটার্ন। এবং ৩টে আলাদা রাজ্যে বিজেপি জিতেছে। এবং রাহুল গান্ধীকে ধন্যবাদ যে উনি তথ্য প্রমাণ সহ দেখিয়েছেন যে এই প্যাটার্ন কীভাবে তৈরি হয়। তবে আমার মনে হয় না পশ্চিমবঙ্গের মানুষরা সহজে থামবেন। তাঁরা সহজে এটাকে গ্রহণ করবেন বলে আমার মনে হয় না।"
বাদ গিয়েছে ৫৮ লাখ লোকের নাম। অনেক সময় দাবি করা হত, ভুয়ো ভোটার বা মৃত ভোটারদের তরফেও ভোট পড়ে যেত। তাহলে এবার কি বিধানসভায় বড় কোনও ফারাক পড়তে চলেছে? চন্দনের কথায়, "আমার নিজের ধারণা, পরিষ্কার করে বেছে বেছে আদিবাসী এবং মুসলমান ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সঙ্গে যেখানে ওদের বিরোধী আছে, সেখানেই বাদ দেওয়া হয়েছে।"
আসন্ন নির্বাচন কি ফেয়ারভাবে হবে এই ঘটনার পর? চন্দন বলেন, "নির্বাচন কমিশন নিজেই তো ফেয়ার নয়, তাহলে নির্বাচন ঠিক করে কীভাবে হবে?"
প্রসঙ্গে, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO)-এর দপ্তরের ওয়েবসাইটে এই খসড়া তালিকা আপলোড করা হয়েছে। সেখানে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল কিন্তু ২০২৬ সালের খসড়া ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম আর নেই, সেই সমস্ত ভোটারদের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।