এ বারেও পুজো মণ্ডপে দর্শকের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকছে। কোথাও প্রতিমা দর্শন করতে হবে পাঁচ মিটার দূর থেকে, কোথাও দর্শকদের থামিয়ে দেওয়া হবে মণ্ডপের ১০ মিটার আগেই!
পুজো নিয়ে রাজ্যের অবস্থান কী, জানতে চেয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। যার উত্তরে শুক্রবার হাই কোর্টে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, আদালতের গত বারের নির্দেশ মেনেই এ বার রাজ্যে দুর্গোৎসব হবে। এর পরেই আদালত জানায়, তা হলে তো গত বারের মতো মণ্ডপ দর্শকশূন্য রাখতে হবে। গত বছর মণ্ডপকে কোয়রান্টিন জ়োন ধরে পাঁচ মিটার এবং ১০ মিটার দূরে ‘নো এন্ট্রি’ করতে বলেছিল আদালত। কিন্তু পুজোর ক’দিন মণ্ডপ দর্শকশূন্য থাকলেও দেদার ভিড় দেখা যায় ব্যারিকেডের সামনে। প্রশ্ন উঠেছিল, মণ্ডপ দর্শকশূন্য রেখে লাভ হল কি?
একই রকম চিন্তিত ত্রিধারা সম্মিলনী পুজোর কর্তা দেবাশিস কুমার। বললেন, “দূর থেকেই প্রতিমা দেখে বেরিয়ে যাওয়ার মতো রাস্তা অনেক ভেবেচিন্তে বার করা হয়েছে। তবু কী হবে, জানি না।” দেশপ্রিয় পার্ক আবার মণ্ডপের বাইরের ভিড় সামলাতে রোবট রাখার ভাবনাচিন্তা করছে। ওই রোবটই দেখবে কে মাস্ক পরেননি, কোথায় ভিড় হচ্ছে। পুজোর কর্তা সুদীপ্ত কুমার বললেন, “এতেও বাইরের ভিড়ের জ্বালা মিটবে বলে মনে হয় না। সবটাই মানুষের সচেতনতার উপরে নির্ভর করছে।” সুরুচি সঙ্ঘের পুজোকর্তা স্বরূপ বিশ্বাসের অবশ্য দাবি, তাঁদের রাস্তা যথেষ্ট চওড়া। বাইরের ভিড় নিয়ে তেমন সমস্যা নেই।