ফের প্লাবিত ঘাটাল, জলের তলায় বহু এলাকা


নিম্নচাপের জেরে গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। এই পরিস্থিতিতে জলমগ্ন ঘাটাল। একাধিক এলাকা এখন জলের তলায়। ইতিমধ্যেই দুর্গতদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন।সূত্রের খবর, শিলাবতী, ঝুমি নদীতে বাড়ছে জল। ঘাটালের চন্দ্রকোনা ১ ও ২ নম্বর ব্লকের একাধিক গ্রাম শিলাবতী ও ঝুমি নদীর জলে প্লাবিত। এদিকে দাসপুরের ১ নম্বর ব্লকে বহু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ঘাটালের মনসুকা গ্রামেও।

ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। মাইথন ও মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ায় ঘাটালের পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, চলতি বছর অগাস্ট মাসেই ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'একাধিকবার বলা সত্ত্বেও কেন্দ্র ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদন দিচ্ছে না। এই প্ল্যানের বাস্তবায়ন না হলে ঘাটালকে বাঁচানো যাবে না।' তিনি আরও বলেছিলেন, '৫০০ কোটি টাকায় চেকড্যামগুলি তৈরি করা হলেও পরিকল্পনা করে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।'

এদিকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে সরব হয়েছিলেন সাংসদ দেব। তিনি বলেছিলেন, 'যতদিন না পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ততদিন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শেষ হবে না।' ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় জলশক্তিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের সঙ্গে দেখাও করে রাজ্যের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে ছিলেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা, জুন মালিয়া, দেব সহ আরও অনেকে। মানস ভুঁইঞা জানিয়েছিলেন, তাঁদের তরফে কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ রাখা হয়েছে যাতে দ্রুত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদন দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পের ২০২৫ সাল পর্যন্ত জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরের তরফে ফর্মুলা তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে নাম রয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের।

Post a Comment

Previous Post Next Post