খবর বাংলা সংবাদ ওয়েব ডেস্ক
রক্তদান মানে জীবন দান। রক্ত দানের মতো মহৎ দান আর কিছুই হয় না। কিন্তু প্রতি বছরই গ্রীষ্ম পড়তেই টান পড়ে রক্ত ব্যাংক গুলিতে। থ্যালাসেমিয়ায় অথবা ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর পরিবার থেকে শুরু করে দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীর পরিবারের পক্ষে রক্ত জোগাড় করা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়ে।ঘাটতি দেখা দেয় সমস্ত ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলোতে।
২৭ শে মে, শনিবার ১২৯ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে এবং লায়ন্স ক্লাব অফ বরিশা বেহালার সহযোগিতায় রক্ত দান শিবিরের আয়োজন করা হলো। বিশেষ করে দূরারোগ্য থালাসেমিয়া রোগীদের জন্যই এই রক্তদান শিবির। এদিন প্রায় দেড়শ জনের বেশি মানুষ রক্ত দিয়েছে। যার মধ্যে এবারে এক্কেবারেই পিছিয়ে ছিলেন না মহিলারাও। রক্তদাতাদের এদিন শংসাপত্র, মোমেন্টো ও রক্ত দানের পর প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হল।
এদিন উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধি তথা বেহালা ১৪ নং ব্যুরোর চেয়ারপার্সেন সংহিতা দাস, রাজ্য তৃনমূল কংগ্রেস সংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জন দাস, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট দীপংকর দে , এবং লায়ন্স ক্লাব অফ বড়িশা বেহালার সদস্যরা।
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জন দাস বলেন,, এটা আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা, তাই রক্তের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না। এই গ্রীষ্মকালে রক্তের সংকট সব থেকে বেশি থাকে। তাই এই সময়ই রক্তদান শিবির করা হয়ে থাকে।
১২৯ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধি সংহিতা দাস বলেন, রক্ত দিলে রক্তদাতার শরীরও ভালো থাকে। তাই ভয় না পেয়ে রক্তদান করার আহ্বান জানালেন তিনি।
দীপংকর দে বলেন, লায়ন্স ক্লাব বরাবরই এভাবেই মানুষের পাশে থেকেছে । আগামীতেও ওরা অনেক সমাজ কল্যাণমূলক কাজ করবে।