সংসদের এই নতুন ভবনেই হবে পরবর্তী বাদল অধিবেশন। পুরনো সংসদ ভবনের পাশেই এই নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে। ত্রিভুজাকৃতি চারতলা ভবন গড়ে উঠেছে প্রায় সাড়ে ৬৪ হাজার বর্গ মিটার জায়গার ওপর। মূল ভবনে ঢোকার মোট ৩টি দরজা, জ্ঞানদ্বার, শক্তিদ্বার ও কর্মদ্বার। নতুন ভবনে লোকসভা, রাজ্যসভা, সেন্ট্রাল লাউঞ্জ, সংসদীয় কর্তৃপক্ষের কার্যালয়, কনস্টিটিউশন হল, গ্রন্থাগার, ডাইনিং রুম এবং থাকছে পর্যাপ্ত গাড়ি রাখার ব্যবস্থা। জাতীয় পাখি ময়ূরের আদলে তৈরি হয়েছে লোকসভা। রাজ্যসভা তৈরি হয়েছে জাতীয় ফুল পদ্মের আদলে।
তবে নয়া সংসদভবন উদ্বোধনের এই অনুষ্ঠান বিতর্ক থেকে রেহাই পায়নি। দেশের আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোয়, অনুষ্ঠান বয়কট করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম, আম আদমি পার্টি, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, জেডিইউ, আরজেডি-সহ ২১টি বিরোধী দল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকছেন ২৫টি বিরোধী দলের সদস্যরা।
শুধু তাই নয়, নয়া সংসদভবন উদ্বোধনের দিন নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ, রবিবারই হিন্দুত্ববাদী নেতা বিনায়ক দামোদর সাভারকরের জন্মবার্ষিকী। বেছে বেছে এই দিনটিকেই কেন সংসদভবন উদ্বোধনের জন্য বেছে নেওয়া হল, তা নিয়ে গোড়া থেকেই প্রশ্ন উঠছিল। এ দিন পুরনো সংসদভবনে সাভারকরকে শ্রদ্ধাও জানাবেন বিজেপি সাংসদরা।