কপ্টার থেকে নামতে গিয়ে চোট পাওয়ার পর, এসএসকেএমে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। হুইলচেয়ারে করে নেমে, গাড়িতে উঠতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আর এই নিয়েই বিরোধী শিবির থেকে উড়ে এসেছে একের পর এক কটাক্ষ। অন্যদিকে, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে যান চিকিৎসকরা।
ঠিক কী হয়েছিল?
মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থেকে হেলিকপ্টারে বাগডোগরা যাওয়ার সময় প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার। এরপরই কপ্টারের মুখ ঘুড়িয়ে নিয়ে সুকনা এয়ারবেসে জরুরি অবতরণ করান পাইলট। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, স্বাভাবিক ক্ষেত্রে হেলিকপ্টার থেকে নামার সময় সিঁড়ি থাকে, কিন্তু জরুরি অবতরণ হওয়ায়, সেই সময় সিঁড়ির ব্যবস্থা ছিল না। তাই কোমড়ে চোট লাগে মুখ্যমন্ত্রীর।
সেবক থেকে সড়কপথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বিশেষ বিমানে কলকাতায় আসেন। বিকেলে, SSKM-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ, হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যান মুখ্যমন্ত্রী। তখন তাঁকে হুইল চেয়ারে করে এনে, গাড়িতে তোলা হয়।
বুধবার বিকেলে তাঁর বাড়িতে যান এসএসকেএম হাসপাতালের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিজিকাল মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান রাজেশ প্রামাণিক এবং একজন ফিজিওথেরাপিস্ট। দু'ঘণ্টা চলে ফিজিওথেরাপি মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে, স্বল্প উচ্চতা থেকে নামতে গিয়ে কীভাবে চোট লাগতে পারে, এবং তার জন্য কী কী করণীয়, তা জানিয়েছেন ফিজিকাল মে়ডিসিন বিশেষজ্ঞ। চিকিৎসক মৌলীমাধব ঘটক বলেন, 'সাধারণত স্বল্প উচ্চতা থেকে নামতে গেলে লিগামেন্টে চোট লাগতে পারে। এরকম পরিস্থিতি হলে, অল্প চোট লাগলে এক সপ্তাহ বিশ্রাম। কিছু ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন হয়।'