রাজ্যসভার আরেক নতুন মুখ প্রকাশ চিক বরাইক এই মুহূর্তে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জেলা তৃণমূল সভাপতি। আদিবাসী এই নেতা দীর্ঘদিন তৃণমূলের সৈনিক, জেলায় যথেষ্ট জনপ্রিয়। পঞ্চায়েতের বিদায়ী সদস্যও ছিলেন। উত্তরবঙ্গের চা বলয় ও আদিবাসী মহলে উন্নয়নের নেপথ্যে প্রকাশ চিক বরাইকের বড় ভূমিকা রয়েছে। অনগ্রসর শ্রেণির এক প্রতিনিধি হিসেবে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যত মাস্টারস্ট্রোক দিল তৃণমূল।
আরেক নতুন সদস্য সামিরুল ইসলাম বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের প্রেসিডেন্ট। তাঁর সংগঠন সামাজিক ন্যায়বিচার নিয়ে কাজ করে থাকে। এহেন ভাবমূর্তির ব্যক্তিত্বকে সংখ্যালঘু হিসেবে রাজ্যসভায় প্রার্থী করল শাসকদল। অন্যদিকে, বাদ পড়েছেন শান্তা ছেত্রী ও সুস্মিতা দেব (Sushmita Dev)। দ্বিতীয়জন অসমের শিলচরের নেত্রী। উত্তর-পূর্বে তৃণমূলের সংগঠন বিস্তারের দায়িত্বে ছিলেন। শিলচর থেকে তাঁকে ফের লোকসভার প্রার্থী করা হতে পারে। সেই কারণে সম্ভবত বাদ পড়লেন তিনি। যদিও বিরোধীদের দাবি, উত্তর-পূর্বে তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে গিয়ে কার্যত ব্যর্থ সন্তোষমোহন দেবের কন্যা। তবে এই দাবি যে সারমর্মহীন, তা অনেকটা স্পষ্ট সুস্মিতা দেবের সক্রিয়তায়। বরাক ভ্যালি সংক্রান্ত ইস্যুতে ১০ ঘণ্টার অনশনে নেমেছেন তিনি।
এনিয়ে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) প্রতিক্রিয়া, যাঁরা বাদ পড়েছেন, দল তাঁদের সসম্মানে বিকল্প দায়িত্ব দেবে। তবে নবীন-প্রবীণের মেলবন্ধনে রাজ্যসভার এই প্রার্থী তালিকা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। সকলকে তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।