মুর্শিদাবাদঃ শনিবার সকালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনে মুর্শিদাবাদ জেলার চারটি জায়গায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয় ৫ জনের। যারা সকলেই রাজনৈতিক দলের কর্মী। নির্বাচন হলেই মুর্শিদাবাদ জেলাতে সন্ত্রাসের আবহাওয়া তৈরি হয়। তবে নিজেদের পরিবারের সদস্যদেরকে হারিয়ে কার্যত দিশাহারা পরিবারের সদস্যরা।
ভোটের সকালে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে জমিতে পড়ে থাকে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর দেহ। মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রামের রতনপুরে নির্বাচনী হিংসায় খুন তৃণমূল কর্মী সাবিরুদ্দিন শেখ। যার কারণে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। শুক্রবার খড়গ্রামের রতনপুর গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই খড়গ্রামের রতনপুরেই মনোনয়নের প্রথম দিন খুন হন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখ। শুক্রবার খড়গ্রামের রতনপুর যান রাজ্যপাল। সেই খুনের মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন তৃণমূল কর্মী সাবিরুদ্দিন শেখ। ভোটের আগের ভোরে খুন সেই সাবিরুদ্দিন শেখ। সকালে রতনপুরে জমি থেকে উদ্ধার হয় দেহ। সাবিরুদ্দিনের ছেলে আব্দুল তার নামেও থানায় অভিযোগ দায়ের করা আছে। কিন্তু বর্তমানে এখন সে ফেরার আছে। যদিও আগামী দিনে কিভাবে সংসার চালাবেন এই চাষী পরিবার তা নিয়েই চিন্তিত তারা। যদিও শোকের আবহাওয়া রয়েছে এখনও পরিবারে।
অন্যদিকে, নওদাতে খুন হয় কংগ্রেস কর্মী। নিহত লিয়াকত সেখের পরিবারের ওপর আগেও এসেছে হামলার ঘটনা। ১৯৯৯ সালে ৯ই মে খুন করা হয় গঙ্গাধারী গ্রামে মুরশেলিম সেখকে। সেই পরিবারের আবার সদস্য কে খুন হতে হল বোমার আঘাতে নওদাতে। শনিবার দুপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনে চায়ের দোকানে বসে থাকাকালীন বোমাবাজিতে আহত হন লিয়াকত সেখ। তারপরেই বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে তার মৃত্যু হয়। পেশায় ছিলেন চাষী, চাষ বাস করেই চলত সংসার। তবে পরিবারের অন্যতম রোজগেরে পুরুষের মৃত্যুতে আগামী দিনে কিভাবে সংসার চালাবেন বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। মুর্শিদাবাদ জেলাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট চারজনের প্রাণ যায় । একজন কংগ্রেস কর্মী, ২জন তৃণমূলের কর্মী ও একজন সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়। দিনভর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতি। দিকে দিকে রক্ত সংঘর্ষ, হানাহানির মতো ঘটনা ঘটে। তবে নিজেদের পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে এখন দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।