রামমন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন দেশজুড়ে হোক অকাল দীপাবলি, আহ্বান মোদির




২২ জানুয়ারি অর্থাৎ অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন অযোধ্যায় রীতিমতো মহোৎসবের আয়োজন করেছে রাম জন্মভুমি তীর্থক্ষেত্রে ট্রাস্ট। সেই মহৎসবে যেমন প্রধানমন্ত্রী মোদি থাকবেন, তেমনি থাকবেন দেশের প্রথম সারির সেলিব্রিটিরা। কিন্তু শুধু সেই মূল অনুষ্ঠান নয়। ওই দিনটাকে গোটা দেশের জন্যই বড়সড় ইভেন্টে পরিণত করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। অযোধ্যায় দাঁড়িয়ে দেশের ১৪০ কোটি ভারতবাসীর কাছে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ, ২২ জানুয়ারি দেশজুড়ে হোক অকাল দীপাবলি।

হিন্দু মতে শ্রীরামচন্দ্র যখন রাবণবধ করে অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তন করলেন, তখন গোটা অযোধ্যা নগরী মেতেছিল অকাল দীপাবলিতে। আগামী ২২ জানুয়ারি ‘নিজের ঘরে’ প্রত্যাবর্তন করছেন শ্রীরামচন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী চাইছেন, ওইদিন গোটা দেশ মেতে উঠুক অকাল দীপাবলিতে। অযোধ্যায় দাঁড়িয়েই প্রধানমন্ত্রী বলে গেলেন, “আমি দেশের ১৪০ কোটি দেশবাসীর কাছে অযোধ্যার মাটি থেকে প্রার্থনা করছি, শ্রীরামচন্দ্রের ভূমি থেকে অনুরোধ করছি, ১৪০ কোটি দেশবাসীর কাছে হাত জোড় করে প্রার্থনা করছি, ২২ জানুয়ারি যেদিন অযোধ্যায় প্রভু রাম বিরাজমান হবেন, নিজেদের ঘরেও রামজ্যোতি জ্বালান। দীপাবলি পালন করুন। ২২ জানুয়ারি সন্ধে গোটা ভারত আলোকোজ্বল হোক।”

শুধু ২২ জানুয়ারি নয়, প্রধানমন্ত্রী মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার এক সপ্তাহ আগে থেকেই দেশবাসীকে এই উৎসবে শামিল করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর অনুরোধ, ২২ জানুয়ারি রামজির আগমনের আগে দেশের সব মন্দির-সব তীর্থস্থান স্বচ্ছ্ব হওয়া উচিত। তাঁর অনুরোধ, ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির দিন থেকে সব তীর্থস্থানে স্বচ্ছতা অভিযান চলুক। তাতে শামিল হোক প্রত্যেক ভারতবাসী। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, “প্রভু রাম পুরো দেশের। প্রভু রাম যখন আসছেন, তখন আমাদের দেশের একটা মন্দিরেও যেন অস্বচ্ছতা না থাকে।” একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ, ২২ জানুয়ারি যেন কেউ অযোধ্যা যাওয়ার চেষ্টা না করে। তাঁর পরামর্শ, অহেতুক ২২ জানুয়ারি ভিড় না বাড়িয়ে তার পর সময় করে অযোধ্যা যান। তবে ২২ জানুয়ারি প্রত্যেক বাড়িতে জ্বালানো হোক রামজ্যোতি।


Post a Comment

Previous Post Next Post