এবার সোনায় মুড়বে কালীঘাট মন্দিরের চূড়া, জোরকদমে চলছে কাজ




কালীঘাট মন্দিরকে ঢেলে সাজানোর দায়িত্ব পেয়েছে মুকেশ আম্বানির সংস্থা। মূল মন্দির থেকে গর্ভগৃহ, ভোগঘর-সহ গোটা মন্দির চত্বরেই আমূল বদল ঘটতে চলেছে। আর এবার জানা গেল, মন্দিরের চূড়া মুড়ে ফেলা হবে সোনায়। হ্যাঁ, একেবারে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের ধাঁচেই সোনায় মুড়বে কালীঘাটের চূড়া।

যা খবর, ইতিমধ্যেই ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরের চূড়াকে সোনায় মোড়ার কাজ নাকি শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্তত ৫০ কিলো কিংবা তারও বেশি সোনা দিয়ে মোড়া হতে পারে মন্দিরের চূড়া। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্তরা একেবারে নতুন কালীঘাট মন্দিরের সাক্ষী থাকবেন। উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) গত কয়েক বছর ধরেই কালীঘাট মন্দির চত্বর ঢেলে সাজাতে চাইছিলেন। যে চেষ্টা শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগেই।

২০১৯ সালে কালীঘাট মন্দির (Kalighat Temple) সংস্কারের দায়িত্ব পেয়েছিল কলকাতা পুরসভা (KMC)। কথা হয়েছিল, ১৮ মাসের মধ্যেই মন্দির সংস্কার সম্পূর্ণ হবে। কিন্তু আদপে তা হয়নি। পুরসভার দাবি, করোনা কালে দীর্ঘ সময় থমকে ছিল কাজ। তারপর মন্দির চত্বর থেকে দোকানিদের সরাতেও বেগ পেতে হয়েছিল পুরসভাকে। উপরন্তু সারা বছর মন্দিরে ভক্তদের ভিড়। সব মিলিয়ে মন্দির সংস্কারের কাজের গতি শ্লথ হয়।

গত চৈত্র সংক্রান্তিতে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে সংস্কারের কাজে ঢিলেমি দেখে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই নিজের উদ্যোগে মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব রিলায়েন্সের হাতে তুলে দেন তিনি। তার পর গত প্রায় মাস ছয়েক মন্দির সংস্কারের কাজ করছে আম্বানির সংস্থা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ৭০ শতাংশেরও বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুতই সেই কাজ শেষ হবে। সংস্কার হবে মূল মন্দির, গর্ভগৃহ, ভোগঘর, নাটমন্দির, শিব মন্দির, কুণ্ডপুকুর, মন্দিরের চাতাল-সহ ভিতর এবং বাইরের দেওয়াল, বলির জায়গা-সহ গোটা মন্দির চত্বর। পুরো কাজটাই হবে মন্দিরের ঐতিহ্য বজায় রেখে। আর এবার শোনা যাচ্ছে, সোনায় মুড়িয়ে দেওয়া হবে মন্দিরের চূড়া।

Post a Comment

Previous Post Next Post