২৬ পেরিয়ে সাতাশ বছরে পা দিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) । আজ, পয়লা জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস ঘিরে দিনভর কর্মসূচিতে থাকছে শাসকদল। প্রথম কর্মসূচি দলের সদর দপ্তর তৃণমূল ভবনে। বাইপাসের ধারে মেট্রোপলিটানে দলের সেই দপ্তরে সকালে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে যার সূচনা করবেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি (Subrata Bakshi)। দেবেন বক্তৃতাও। শ্রদ্ধা জানানো হবে বাংলার মনীষীদের প্রতিকৃতিতে। সেই সঙ্গে এই দিনটি নতুন করে দলের শপথ নেওয়ার দিন। নতুন লড়াইয়ের অঙ্গীকারের দিন।
এর পাশাপাশি নিয়মমাফিক হাসপাতালে রোগী ও দুস্থদের ফল বিতরণ কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। এই কর্মসূচি রাজ্যজুড়ে দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে পালন করার কথা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি। ১ জানুয়ারির সঙ্গে সঙ্গে এক মাসব্যাপী কর্মসূচি রয়েছে শাসকদলের –
- আগামী ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন
- ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্রের জন্মদিবস
- ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস
- ৩০ জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবস
এই দিনগুলিকে সামনে রেখে পরপর টানা কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। মনে করা হচ্ছে, এই দিনগুলিতে নির্দিষ্ট কর্মসূচি থেকে বাংলার মনীষীদের স্মরণ করে বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নিশানা করবে তৃণমূল কংগ্রেস। বিগত কয়েকদিনে যেভাবে বাংলার মনীষীদের অসম্মানের অভিযোগে বিজেপিকে বিদ্ধ করেছে শাসকদল, আগামিদিনে এই কর্মসূচিগুলি থেকেও সেই আক্রমণ জারি থাকবে। বিশেষ করে স্বামীজিকে নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির সাম্প্রতিকতম মন্তব্যের জেরে আগামিদিনে আক্রমণের ধার যে আরও বাড়বে তৃণমূলের তরফে, তা স্পষ্ট।
এছাড়া সোমবার থেকে একপ্রকার লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আঁচ গায়ে লাগতে শুরু করবে। রাজনৈতিক মহলে যা নিয়ে আলাদা প্রস্তুতিও শুরু হয়ে যাবে। নতুন বছরেই নিজস্ব কর্মসূচি নিয়ে নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ৭ তারিখ তাঁর নিজের কেন্দ্রের কর্মসূচি রয়েছে। একইভাবে দলের প্রত্যেক সাংসদ, বিধায়ক ও দলের অন্যান্য নেতারা কর্মসূচি করবেন। বাংলাজুড়ে এই কর্মসূচি চলবে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস থেকেই।