আবারও একটা ঐতিহাসিক একুশে। আবারও ধর্মতলার (Dharmatala) জনসমুদ্র ভেঙে দিল অতীতের সব রেকর্ড। কলকাতায় আছড়ে পড়ল গোটা বাংলার লক্ষাধিক তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। কিন্তু তাতেও থমকাল না শহরের জনজীবন। লক্ষ মানুষের ভিড় সামলেও শহরের রাজপথে সচল রইল যান চলাচল। সকাল থেকে হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা স্টেশন-সহ শ্যামবাজার, হাজরা থেকে হাজার হাজার মানুষের ধর্মতলামুখী জনস্রোত সত্ত্বেও সকাল ১১টা পর্যন্ত সারা কলকাতার পরিবহণ ব্যবস্থা ছিল সচল-স্বাভাবিক। আবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ সভা শেষের আধঘণ্টার মধ্যেই সমস্ত ঘেরাটোপ তুলে নিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে যান চলাচল চালু করে দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের শেষে সভা ভাঙলেই ধর্মতলা চত্বরে নেমে পড়েন কলকাতা পুরসভার প্রায় ৩০০ সাফাইকর্মী। সভাস্থল থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গোটা ধর্মতলা এলাকায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সাফাই অভিযান চালায় পুরসভার জঞ্জাল সাফাই, কঠিন বর্জ্য বিভাগের কর্মীরা। অন্যদিকে, সমাবেশ শেষেও একুশের শহিদ স্মরণে আসা লক্ষাধিক দলীয় কর্মীদের সাবধানে বাড়ি ফেরার জন্য সবরকম বন্দোবস্ত করা হয় তৃণমূলের তরফে। দূর-দূরান্তের যে কর্মী-সমর্থকরা সোমবার ফিরবেন না, মঞ্চ থেকেই রাতের জন্য তাঁদের থাকা-খাওয়ার যাবতীয় বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেন তৃণমূলনেত্রী। রাজ্যের তিন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম ও সুজিত বসুকে বিষয়টি দেখে নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর যাঁরা ফিরে যাবেন, তাঁদের জন্য ব্যবস্থা করা হয় প্রয়োজনীয় বাস-গাড়ির। শিয়ালদহ, হাওড়া ও কলকাতা স্টেশনেও তৈরি করা হয় একাধিক সহায়তা কেন্দ্র।