খবর বাংলা সংবাদ ডিজিটাল :- স্কুলে ঢুকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেধড়ক মারধর, আছড়ে ভাঙা হল মোবাইল ফোন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের একটি স্কুলের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড়। স্কুলে বহিরাগতদের এই বেপরোয়া তাণ্ডবের পিছনে প্রধান শিক্ষকের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষকাদের। যদিও অভিযোগ উড়িয়েছেন প্রধান শিক্ষক।
নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দির। এই স্কুলেই শনিবার ঢুকে পড়ে একদল বহিরাগত। ২৫-৩০ জন যুবকের একটি দল টিচার্স রুমে চড়াও হয়। একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
স্কুলে ঢুকে ভাঙচুর করা হয়েছে। কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মোবাইল ফোনও ভেঙে দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষকের মদতেই এই মারধরের ঘটনা বলে অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। যদিও প্রধান শিক্ষক ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। এই ঘটনার দেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল স্কুলের পড়ুয়ারাও। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
স্কুলে ক্লাস চালাকালীন এই হামলার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পড়ুয়ারাও।
জানা গিয়েছে, এই স্কুলের একটি মামলা হাইকোর্টে চলছে। তারই জেরে এদিনের এই হামলা বলে দাবি আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের । এদিন আক্রান্ত এক শিক্ষক রত্নদীপ মিশ্র বলেন, “পরিকল্পনা করেই আক্রমণ করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি। উনি পরিকল্পনা করে এগুলো করাচ্ছেন। পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে স্কুল চলাকালীন চড়াও হয়েছে বহিরাগতরা। সরকারের প্রতিনিধিরা এসে ক্লাস চলাকালীন আক্রমণ করেছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আমার স্কুলে আসতে পারব না। হাতে হেলমেট নিয়ে হিংসাত্মক আত্রমণ করেছে।”
এদিকে, প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা দাবি, স্কুলের এক ছাত্রীর যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এদিনের এই জনরোষের পিছনে সেই ঘটনাকেই দায়ী করেছেন তিনি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অন্য শিক্ষকদের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়েছেন তিনি।
প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ এদিন বলেন, “মারধরের কথা শিক্ষক-শিক্ষিকারা আমাকে জানাননি। জানালে আইনগত ব্যবস্থা আমাকে নিতে হবে। বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন। ওই শিক্ষক স্কুলে আসছেন না। আমরা তাঁকে চিঠি দেব। যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বলেই জনরোষ হয়েছে স্কুলে। পুলিশ এসেছে তারা দেখছে।” অন্যদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, “এটা মিথ্যা কথা। এরা দীর্ঘকাল স্কুলে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছে। সিনিয়র শিক্ষকদের অপমান করা হচ্ছে। স্কুলের সুনাম ধরে রাখতে চেষ্টা করছি।”