ওড়িশার জাজপুরে সোমবার রাতে বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের ৫ পর্যটকের। আহত আরও অনেকে। এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভিনরাজ্যে বিপদে পড়া রাজ্যের বাসিন্দাদের উদ্ধারে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। তড়িঘড়ি দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে ওড়িশায় পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ওড়িশা সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে নবান্ন। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে রাজ্যের পদক্ষেপের কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করলেন উদ্বিগ্ন পরিবারগুলিকে। জানালেন, আটকে পড়া মানুষজনকে নিরাপদে পরিবারের কাছে পৌঁছতে সাহায্য করবে রাজ্য সরকার।
সোমবার রাত ৯টা নাগাদ ওড়িশার জাজপুরে পুরী থেকে বাংলায় ফেরার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওড়িশার জয়পুর জেলায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে বারাবতী সেতু থেকে নিচে পড়ে বাসটি। প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি কটক থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে আসছিল বলে খবর। দুর্ঘটনার খবর পেতেই স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করে। তাঁদের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা সকলে পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। আহতরা অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
এই খবর পেয়েই তৎপর হন মুখ্যমন্ত্রী। এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন তিনি। তাই প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যাবতীয় নির্দেশ দেন। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গে কথা বলে তাঁকে দ্রুত ওড়িশা পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি নবান্নের তরফেও যোগাযোগ করা হয় ওড়িশা সরকারের সঙ্গে। এদিন জলপাইগুড়িতে তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের প্রচারে গিয়ে সেই রাজ্যের সেই তৎপরতার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। বললেন, ”পুরী থেকে ফেরার সময় রাজ্যের কয়েকজন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। আমি শুনে সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রী সুজিত বসুকে সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছি। ও ওখান থেকে সরাসরি উদ্ধারকাজ দেখতে পারবে। যার যা প্রয়োজন, সেটা করে দিতে পারবে। রাজ্য সরকার সবসময় বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে আছে। এই যে উত্তরবঙ্গে এত ঝড়বৃষ্টিতে মানুষজন বিপদে পড়ল, আমি সেই থেকে টানা উত্তরবঙ্গে রয়েছি। বিজেপি কি এসব ভাবে?”