এদিকে দিন কয়েক আগেই ৮ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিস। যাদের মধ্যে ২ জন বাংলার বাসিন্দা। এখন তেহরিক উল মুজাহিদিনের সদস্য জাভেদ মুন্সি কেন বাংলায় এসেছিল, শুধু লুকিয়ে থাকাই তার উদ্দেশ্য ছিল নাকি সে এখানেও নেটওয়ার্ক তৈরির করার চেষ্টা করছিল সেটাই এখন দেখার। জানা যাচ্ছে কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর উপরে একাধিক হামলার সঙ্গে জড়িত জাভেদ মুন্সি।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরালা-সহ একাধিক রাজ্যে জাল বিস্তার করতে জোটবদ্ধ আনসার উল বাংলা টিম- জেমবি। আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টের ছাতার তলায় থেকে নতুন ভাবে কাজ শুরু করেছে জেএমবি-এটিবির সদস্যরা। বাংলাদেশে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সু্যোগে জঙ্গি সংগঠন গুলির নয়া স্ট্রাটেজি উদ্বেগে ভারতীয় গোয়েন্দারা। বিশেষ করে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের জমানায় যে ভাবে পাকিস্তানে জাহাজগুলোকে খোলা ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসার নিয়ম শিথিল করেছে তার রীতিমতো উদ্বেগজনক। কারণ, ২০১৪ সালে গঠিত AQIS-এর ভরকেন্দ্র এবং মূল নিয়ন্ত্রকরা পাকিস্তানে অবস্থিত । ফলে পাকিস্তান থেকে অনায়াসে বাংলাদেশে এবার তারা চলে আসতে পারে এমনকী, এদেশেও অনুপ্রবেশে আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা।