বর্তমান মূলত তথ্যপ্রযুক্তির সময়। দিন যত এগিয়ে গেছে তথ্য প্রযুক্তি তত বেশি সাফল্য লাভ করেছে। আর বর্তমানে হাতে একটি স্মার্টফোন থাকলে এবং তার মধ্যে ইউটিউব দেখেই শিখে যাওয়া যায় নতুন জিনিস। শিক্ষাগুরু যখন ইউটিউব, তখন থামা নেই!
তাই দেখে অন্যের বাড়িতে গিয়ে সাপ ধরেছেন তিনি। সেই ‘সাপুড়ে’ এবার সাপের লেজে পা দিতেই সর্পের দংশন। ইউটিউবে শেখা বিদ্যা দিয়ে ঘাতক সাপকে কৌটোবন্দি করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে সটান হাজির বাপ্পা দলুই নামে ওই ব্যক্তি। যাঁকে ঘিরে আর এক প্রস্থ নাটক হয় হাসপাতালে।
বীরভূমের সদাইপুর থানার অন্তর্গত পানুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বাপ্পা দলুই। দিন কয়েক আগে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইউটিউব এর বিভিন্ন রিলস স্ক্রল করতে করতে দেখতে পাই সাপ ধরার একটি ভিডিও। আগ্রহ নিয়ে পুরো ভিডিওটি দেখেন তিনি। ঠিক এভাবেই পরেও আরও দু তিনটি সাপ ধরার ভিডিও তার চোখে পড়ে। সেগুলিও দেখেন। আর এর পরেই শনিবার গ্রামের রাস্তায় হাঁটার সময় হঠাৎ একটি সাপের গায়ে পা দিয়ে ফেলেন তিনি। পাল্টা সাপও যুবককে দেয় ছোবল।
এরপরেই যুবকের কাজে লাগে ইউটিউব এ দেখা সেই রিল। ভিডিওয় দেখা টেকনিক কাজে লাগিয়ে জ্যান্ত সাপটিকে ধরে কৌটোয় ভরে নিয়ে যুবক চিকিৎসার জন্য চলে যায় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এর পরে কৌটো থেকে বার করে সাপটি দেখাতেই কার্যত ভিড়মি খেয়ে যান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। চঞ্চল্য ছড়িয়ে যায় হাসপাতাল চত্বরে। অন্যদিকে বাপ্পা তার সঙ্গীকে বলেন সাপটিকে ফেরত নিয়ে যেতে। পরবর্তীতে বাপ্পাকে ভরতিনেওয়া হয় হাসপাতালে। খুলতে বলা হয় পায়ের বাঁধন।
সাপে কামড়ালে তার চিকিৎসা কোন সাপ কামড়েছে সেই ভিত্তিতে হয় না, হয় উপসর্গের ভিত্তিতে। এবং যেকোনও সাপ কামড়ালেই ওষুধ একমাত্র AVS। অন্য দিকে সর্প বিশেষজ্ঞরা জানান, বাপ্পার ধরে আনা সাপটি নির্বিষ ঘরচিতি সাপ। লেজে পা পড়ার জন্যই সে কামড়েছে