নিজস্ব প্রতিবেদন খবর বাংলা সংবাদ :
বেহালা পশ্চিমে তৃণমূলের টিকিটে শ্রাবন্তী? উঠছে প্রশ্ন – বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে
বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে রাজনৈতিক উত্তাপ আবারও চড়ছে। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে জোর গুঞ্জন—জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে এবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চলেছেন। যদিও এখনও এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি, তবুও রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
তবে প্রশ্ন উঠছে—বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। কারণ, এই একই শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়ে ঠিক এই কেন্দ্র থেকেই তৃণমূলের প্রবীণ নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। নির্বাচনী প্রচারে তিনি তৃণমূলের দুর্নীতি, স্বজনপোষণ এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। সেই শ্রাবন্তীই যদি আজ আবার তৃণমূলের প্রতীক নিয়ে ভোটের ময়দানে নামেন, তাহলে মানুষের মধ্যে তাঁর প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে তো?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, জনপ্রিয়তা থাকলেও রাজনৈতিক আদর্শে ধারাবাহিকতা না থাকলে তা ভোটারদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। শ্রাবন্তী একজন সাংস্কৃতিক জগতের পরিচিত মুখ হলেও, অতীতের অবস্থান ও বক্তব্যের সম্পূর্ণ উল্টো পথে হাঁটলে তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
অন্যদিকে, তৃণমূলের অন্দরেও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। অনেক পুরোনো নেতা-কর্মী যেখানে দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনে কাজ করছেন, সেখানে হঠাৎ বাইরে থেকে আসা একজনকে প্রার্থী হিসেবে টিকিট দেওয়া হলে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ বৃদ্ধি পেতে পারে।
যদিও রাজনীতিতে দলবদল, মতবদল বা অবস্থান পরিবর্তন নতুন কিছু নয়, তবুও সাধারণ মানুষের কাছে রাজনৈতিক চরিত্রের স্বচ্ছতা ও ধারাবাহিকতা একটা বড় বিষয়। শ্রাবন্তীর প্রার্থীপদ শেষ পর্যন্ত সত্যি হলে, তিনি কীভাবে তার পূর্বের বক্তব্যের জবাব দেন, এবং কীভাবে মানুষের আস্থা অর্জন করেন, সেটাই আগামী দিনে দেখার বিষয়।
শেষ কথা:
রাজনীতি নাটকীয়, কিন্তু ভোটাররা সচেতন। তাই জনপ্রিয়তা থাকলেই চলবে না, চাই বিশ্বাসযোগ্যতা। শ্রাবন্তী তা বজায় রাখতে পারবেন তো?