SSC-র ফর্ম পূরণ ‘যোগ্য’দের ৯০%-র


স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) ২০২৫ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সোমবার সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ৫ লক্ষ ৮০ হাজার চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। তাঁদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ‘আনটেন্টেড’ (তথাকথিত ‘যোগ্য’) প্রার্থীর সংখ্যা সাড়ে ১৩ হাজারেরও বেশি।

যদিও ১৫ হাজার ৩০৩ জন ‘যোগ্য শিক্ষক’ স্কুলগুলোয় এখন কর্মরত। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁরা যেখানে পড়াচ্ছেন, পড়াবেন। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট এ বছর ৩ এপ্রিল ২০১৬ সালের ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষাকর্মীর প্যানেল খারিজ করেছে।

তার পর ‘নতুন করে পরীক্ষায় বসব না’— এই দাবিতে ‘যোগ্য শিক্ষক–শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’ রাজ্য জুড়ে লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছে।

সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে ফিজ় দিয়ে নবম–দশম ও একাদশ–দ্বাদশে আবেদনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। বাকি ‘যোগ্য’রাও ফর্ম পূরণ করবেন বলে এসএসসি–র আশা।

কিন্তু এসএসসি ২০১৬ সালের ‘যোগ্য’দের চিহ্নিত করছে কী ভাবে?

পশ্চিম মেদিনীপুরের আমলাশুলি ইন্দ্রনারায়ণ হাইস্কুলের নবম–দশমের ভৌত বিজ্ঞানের তথাকথিত ‘যোগ্য’ শিক্ষক বিদ্যুৎ কুণ্ডুর কথায়, ‘এসএসসি–র চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফর্ম পূরণের সময়ে কর্মরত শিক্ষক–শিক্ষিকাদের একাধিক অপশন দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

ওই ফর্মে জানতে চাওয়া হয়েছে, বয়সের ছাড়ের প্রয়োজন আছে কি না, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকার জন্য নম্বর প্রাপ্য কি না এবং সে ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কত বছর চাকরি হয়েছে।’

তাঁর সংযোজন, ‘আমাদের মধ্যে যাঁদের চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরির মেয়াদ আছে, তাঁরা ২০১৬ সালের নিয়োগ পরীক্ষার রোল নম্বর দিয়েছি। সেই সঙ্গে যে স্কুলে আমরা কর্মরত, সেখানকার ডাইস কোড এবং শিক্ষক–শিক্ষিকাদের নিজস্ব আইডি–ও দিতে হয়েছে।

তবে আমার বয়সের ছাড়ের দরকার নেই। কিন্তু আমি ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি শিক্ষকতায় যোগ দিয়েছি। সেটা উল্লেখ করেছি অভিজ্ঞতা হিসেবে।’

Post a Comment

Previous Post Next Post