বেশ কয়েক বার পিছনোর পরে শুক্রবার স্নাতকে ভর্তির অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে রাজ্যে মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। রাজ্যের ৪৬০টি কলেজে ও ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৪১ জন ছাত্রছাত্রী নাম লিখিয়েছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এ দিন এক্স–হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘মোট ৩ লাখ ১ হাজার ৬৭৭ জন বৈধ আবেদনকারীকে ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ৪৬০টি কলেজের ৭,২৩২টি বিষয়ে ৪ লাখ ২ হাজার ৫৫৭টি আসনে প্রাথমিক ভাবে আসন বণ্টন করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের পছন্দের ভিত্তিতে ভর্তি হতে পারবেন।’ এ দিন থেকেই কলেজগুলিতে অনলাইন ভর্তি শুরু হয়েছে। প্রথম দফার ভর্তি ২৫ অগস্ট পর্যন্ত চলবে বলে পোস্টে উল্লেখ করেছেন ব্রাত্য বসু।
ভর্তির জন্য ২৩, ২৫ এবং ২৭ অগস্ট সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলিতে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে পড়ুয়াদের। নথি যাচাই করা হবে সেখানে। ২৯ অগস্ট থেকে প্রথম পর্যায়ের ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। কোনও প্রার্থী কলেজে ভর্তি হওয়ার পরে তাঁর পছন্দ বা চয়েস পরিবর্তন করতে চাইলে, সেই প্রক্রিয়া অনলাইনের মাধ্যমে শুরু করা হবে ৩১ অগস্ট বিকেল পাঁচটা থেকে। প্রথম বার ভর্তির পর যদি দেখা যায়, আসন ফাঁকা রয়েছে, তা হলে দ্বিতীয় পর্যায়ে (মপ আপ রাউন্ড) ভর্তি হবে।
সে ক্ষেত্রে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে ৩১ অগস্ট, শেষ হবে ৩ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় পর্যায়ে যাঁরা ভর্তি হবেন, তাঁদের সশরীরে নথি যাচাইকরণ প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে হবে ৪, ৬, ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর। তৃতীয় পর্যায় অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে। প্রথম পর্যায়ে যাঁরা আবেদন করেনি বা পছন্দের কলেজ বা আসন পাননি, তাঁরা ফের আবেদন করতে পারবেন। ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে।
১৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টের পরে দ্বিতীয় পর্যায়ের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর শেষ পর্যায়ে যাঁরা আসন পাবেন, তাঁদের কলেজে ভর্তি নেওয়া হবে। ২১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে আপগ্রেডেশন রাউন্ড। ২৩ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর সশরীরে নথি যাচাই করা হবে পড়ুয়াদের। রাজ্যের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৬১টি সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে স্নাতক স্তরে ৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯২১টি আসন রয়েছে।