চার অফিসারকে সাসপেন্ড ও এফআইআর ইস্যুতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তলবে সাড়া। বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটের বিমানে দিল্লি গেলেন বাংলার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বিকেল ৫ টায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও দুই নির্বাচন কমিশনারের মুখোমুখি হবেন তিনি।
সম্প্রতি ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তকরণে কারচুপির অভিযোগ ওঠে ৪ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। তাঁরা হলেন বারুইপুর পূর্ব (১৩৭) বিধানসভা কেন্দ্রের ইআরও দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী, সহকারী এইআরও তথাগত মণ্ডল, ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার, এইআরও সুদীপ্ত দাস এবং ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদার। এই ৪ আধিকারিককে সাসপেন্ড করে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার মুখ্যসচিব নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে জানান, ওই চার আধিকারিককে সাসপেন্ড ও এফআইআর করা হবে না। তাঁদের মধ্যে দু’জন যথাক্রমে বারুইপুর পূর্বের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদার ও ময়নার এইআরও সুদীপ্ত দাসকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছিল, মনোবল ভেঙে যাবে।
রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের পরই কড়া পদক্ষেপ করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ইমেল মারফত বুধবার বিকেল ৫ টায় মুখ্যসচিবকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে ডাকা হয়। সেই চিঠিতেই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, কেন কমিশনের নির্দেশ পালন করা হয়নি। তলবে সাড়া দিয়েই দিল্লি গেলেন পন্থ। সেখানেই কেন নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ পালন করা হল না, তার জবাব দিতে হবে মুখ্যসচিব। এদিনের জবাবের উপরই নির্ভর করে রয়েছে কমিশনের পরবর্তী পদক্ষেপ।