এক পুলিশ কর্তা মঙ্গলবার বলেন,‘মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন খুনখারাপি বন্ধ হোক। গ্রেপ্তার করা হোক অভিযুক্তদের। এই স্পষ্ট বার্তাটা আমাদের প্রয়োজন ছিল। বিভিন্ন জেলাতে গোষ্ঠী কোন্দলের প্রভাব পড়ছে। দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত এলাকার প্রভাবশালী কারও লোক। ফলে তদন্তের ক্ষেত্রে এক পা এগিয়েও দু’পা পিছিয়ে যেতে হচ্ছে আমাদের। খুচখাচ গ্রেপ্তার করা হলেও আসল মাথা পর্যন্ত পৌঁছনো যাচ্ছে না।’
প্রায় একই সুরে সরব হয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও। দলের রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘মারছে তৃণমূল। মরছে তৃণমূল। গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার শুধু বিজেপি–ই হচ্ছে না, তৃণমূলও হচ্ছে। লেনদেন নিয়ে গন্ডগোল হলে তৃণমূলই তৃণমূলকে খুন করছে। এ সব কার অনুপ্রেরণায় হচ্ছে, সেটাও বাংলার মানুষ জানে।’
উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গ কিংবা জঙ্গলমহল, গত ৩৭ দিনে কখনও কোচবিহার অথবা মালদা, কখনও বীরভূমের সাঁইথিয়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড় এবং হুগলির কোন্নগরের তৃণমূল নেতা খুন হয়েছেন। সোমবার বাঁকুড়ার সোনামুখীতেও এক তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে এলাকার ক্ষমতা কার হাতে থাকবে তা নিয়ে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি তদন্তে উঠে এসেছে। ফলে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরে পুলিশ আরও তৎপর হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিকে, গত ৯ তারিখ কোচবিহারের পুন্ডিবাড়িতে ভরা বাজারে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত স্থানীয় তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের পুত্র সঞ্জীব রায় ওরফে অমরের খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে তাঁর পরিবার। সঞ্জীবের বাবা মহীন চন্দ্র রায় মঙ্গলবার জানিয়েছেন, এখনও কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন।