এ দিন শুনানি চলাকালীন দিল্লি সরকারের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক হয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। পথকুকুরদের নিয়ে সমস্যার সমাধান প্রয়োজন।’ কেউ পশুদের বিরুদ্ধে নয়, সেই বিষয়েও জোর দেন তিনি। এই আইনজীবীর আদালতে পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ৩৭ লক্ষ কুকুর কামড়ানোর ঘটনা নথিভুক্ত।
অন্যদিকে, কুকুরদের দেখভাল করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে এ দিন সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিবাল। তিনি আদালতে জানান, পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার দরকার। ১১ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নির্দেশে স্থগিতাদেশ দাবি করেন তিনি।
গত সোমবার বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি আর মহাদেবনের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, দিল্লির ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওনে (দিল্লি এনসিআর) কোনও পথকুকুর আর থাকতে পারবে না। তাদের ধরে শহরের বাইরে শেল্টারে পাঠাতে হবে। এর জন্য আট সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল দিল্লি এনসিআর এবং দিল্লি নগর নিগম কর্তৃপক্ষ ও লাগোয়া এলাকার পুর কর্তৃপক্ষদের। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের হুঁশিয়ারি ছিল, এই নির্দেশ কার্যকর করার পথে কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন বাধা দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। এই নির্দেশের পরেই দেশজুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপের দাবি করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এখন কী নির্দেশ দেবে, এখন সেই দিকেই সব নজর।