প্রশ্নের মুখে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের নিরাপত্তা। জগন্নাথ মন্দিরের চূড়ায় ওঠার চেষ্টা করলেন এক ‘ভক্ত’। যদিও তাকে আটক করা হয়েছে। কী কারণে তিনি পুরীর শ্রীমন্দিরের চূড়ায় ওঠার চেষ্টা করেন তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চূড়ায় ওঠার চেষ্টা করেন মনোজ সিং নামের এক ব্যক্তি। তিনি উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা।
দিন কয়েক আগেই ঝাড়খণ্ডের এক বাসিন্দাও ওই মন্দিরের মাথায় ওঠার চেষ্টা করেন। গত ১৬ তারিখে মন্দিরের দেওয়াল বেয়ে ওঠার সময় ধরা পড়ে যান তিনি। তার কয়েক দিন আগেই, ‘মেঘনাদ পাচেরি’ ( মন্দিরের বাইরের দেওয়াল) টপকে ভিতরে আসার চেষ্টা করেন ওডিশার গঞ্জাম জেলার এক ব্যক্তি। মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়াও আছেন অনেক নিরাপত্তা রক্ষী। তাঁদের নজর এড়িয়েই সেই চেষ্টা করেন তারা। যদিও তাতে সফল হতে পারেননি কেউই।
আর, শুক্রবার ফের মূল মন্দিরের মাথায় ওঠার চেষ্টা করেন আরও এক জন।
প্রসঙ্গত দিন দুয়েক আগেই শ্রীমন্দিরের একাধিক এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তার মধ্যেই মনোজ সিং নামের এক ভক্ত মূল মন্দিরের দেওয়াল বেয়ে ওঠার চেষ্টা করেন।
পুরীর পুলিশ সুপার পিনাক মিশ্র জানিয়েছেন, মনোজ সিং উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা। ওই ব্যক্তি ধুতি পরে মন্দিরে ঢুকে দেওয়াল বেয়ে ওঠার চেষ্টা করেন। পুরীর পুলিশ সুপার জানান, ওই ব্যক্তিকে মন্দিরের দেওয়াল বেয়ে উঠতে দেখেই সেখানে থাকা পুলিশকর্মীরা ধরে ফেলেন। তাকে সিংহদ্বার থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে ওই ব্যক্তি এই কাজ করেন তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত মাসেই অন্তত চার জন পুরীর মন্দিরের বাইরে দেওয়াল টপকে ভিতরে ঢুকে পড়েছিলেন। এ ছাড়াও স্পাই ক্যামেরা নিয়ে মন্দির চত্বরে ঢুকে পড়েছিলেন অন্তত তিন জন।
একের পর এক এই ধরনের ঘটনা ঘটায় মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ভক্তরা। তাঁদের দাবি, সেখানে সুরক্ষা ব্যবস্থায় গাফিলতি এবং নজরদারির অভাব আছে।
তবে, এই ধরনের ঘটনা আটকাতে নিরাপত্তার জন্য আরও কিছু পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছেন পুরীর পুলিশ সুপার। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই একাদশী মন্দির এবং দক্ষিণী ঘড়ার কাছে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা এড়াতে নির্দিষ্ট স্থানে সাইনবোর্ড লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হবে মন্দির প্রশাসনকে বলেও জানিয়েছেন তিনি।