*শুক্রবার সকালের বিমানে ব্যাঙ্গালোর এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ*
*আপনি কোথায় যাচ্ছেন?*
আমি বেঙ্গালুরু চলে যাচ্ছি। রবিশঙ্কর প্রসাদের সঙ্গে দেখা করতে। একটা মিটিং পেন্ডিং ছিল। ওরা চিঠি দিয়ে দেখা করতে বলেছে। কাল ফিরব।
*আজই কেন? আজ শহরে মোদী আসছেন*
আজকেই মিটিংয়ে ডেট। উনি চিঠি দিয়ে কনফার্ম করেছেন। আমার আজ কলকাতায় কোনো কাজ নেই।
*এতো অভিমান কেন?*
দিলীপ ঘোষ কোনোদিন অভিমান করেনি। ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত কাজ করেছি। লোকের অভিমান ভাঙ্গিয়েছি।
*আপনার দলের প্রতি অবদান কি ভুলে যাওয়া হচ্ছে?*
প্রধানমন্ত্রী কি বুঝবেন সেটা প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দিন। আমার মতো হাজার হাজার কর্মী পার্টিতে আছেন। পার্টি তাদের নিয়ে ভাবে। যোগ্য মনে করলে তাদের কাজ দেয়। পার্টিতে আমার কোনো কাজ নেই। প্রধানমন্ত্রী আসছেন। ভাষণ দেবেন। সেতো আমি মোবাইলে শুনে নিতে পারি। উনি তো আসতেই থাকবেন। ভাষণ শোনা তো কোনো কাজ নয়। অন্য কাজ যখন পার্টি দেবে সেই কাজে লেগে যাবো।
*আপনি কি ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোটে লড়বেন? খড়গপুর থেকেই কি লড়বেন?*
পার্টি ৩ বার মনে করেছিল আমার ভোটে লড়া উচিৎ। এরমধ্যে দুবার আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল কোথায় লড়তে চাই। দুবার আমি নাম বলেছি। জিতেছি। তৃতীয় বার আমাকে কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। লড়তে বলেছিল। লড়েছি। জিতিনি। পার্টির সিদ্ধান্ত। পার্টি বুঝবে। পার্টি যদি বলে আমার ইলেকশন লড়ার দরকার নেই তাহলে আমি অন্য কাজ করব। আমি ওসব নিয়ে ভাবিনা। পশ্চিমবঙ্গে অনাচার চলছে। মানুষ পরিবর্তন চাইছে। বিজেপি কে আমরা দাঁড় করিয়েছি। আমরা যোগ্য। পরিশ্রম করে মানুষের আশীর্বাদ চেয়ে নেব।
*বাংলায় ভাষা এবং আঞ্চলিকতার রাজনীতির আমদানি*
আঞ্চলিক পার্টিগুলোর আদর্শ নীতি সংবিধান কিছুই থাকেনা। কিছু লোকাল ইস্যু নিয়ে দলগুলো তৈরি হয়। লোকাল ইস্যু নিয়েই ভোটে দাঁড়ায়। প্রতিবার নতুন ইস্যু আনে। সমাজ বা দেশ নিয়ে ভাবেনা। রাজনীতির চিন্তা করে। দেশ ভাঙল কি রইল এইসব কিছুই চিন্তা করেনা। তৃণমূলের মতো পার্টি যতদিন থাকবে এই আঞ্চলিকতার রাজনীতি করবে। বাংলার মানুষ চিন্তাশীল এবং দূরদর্শী। তাই এখানেই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। আমরা একসময় খেলাধুলো পড়াশোনা সবকিছুতে এগিয়ে ছিলাম। এখনও প্রতিভা আছে। যারা বাইরে গিয়ে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন। বাংলার মানুষ বুঝতে পেরেছে পরিবর্তন হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।